‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্রের শুটিং শুরু
কলকাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের জননায়ক ছিলেন না, কলকাতার বুকেও জড়িয়ে ছিল তার নানা স্মৃতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই জীবন সেলুলয়েডে বন্দি করছেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ।
কলকাতার মওলানা আজাদ কলেজ (তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজ) চত্বর এক সময় উত্তাল হয়ে উঠত ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে। সোমবার (৩ এপ্রিল) সেই কলেজের দোতলায় শুরু হলো ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্রের শুটিং। সেই সঙ্গে বেকার হোস্টেলেও শুটিং হয়।
তথ্যচিত্রটির প্রযোজনায় রয়েছে ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ ও কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাস। জানা গেছে, ৩০ মিনিটের ওই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হবে কয়েক দফায় শেখ মুজিবের কলকাতায় আসা, থাকা এবং তার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন পর্ব।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, মুজিববর্ষেই তথ্যচিত্রটি করার পরিকল্পনা হয়েছিল। মহামারি করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে তথ্যচিত্রটির।
এই ছবির পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, “সবচেয়ে বড় প্রামাণ্য তথ্য বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। জেলে বসে তিনি লিখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কলকাতায় অবস্থান পর্বের বিভিন্ন ঘটনা বারেবারে অতীতে গিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে তথ্যচিত্রে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের এই পর্ব নিয়ে ভবিষ্যতে পূর্ণ দৈর্ঘ্য সিনেমাও হতে পারে।”
ছাত্র বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে এই তথ্যচিত্রে। শেখ মুজিবুর রহমান থেকে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা–রাজনৈতিক উত্তরণের এই পর্যায়ে কলকাতার ভূমিকা রয়েছে। ১৯৩৪ সালে ১৪ বছর বাবার হাত ধরে বেরিবেরির চিকিৎসা করাতে প্রথম কলকাতায় আসা। শেষ এসেছিলেন ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তখন তিনি বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের কলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন বেকার হস্টেলে। পরবর্তীকালে ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলতে থাকেন সামনের দিকে। দীর্ঘ এই সময়ে কলকাতার পার্ক সার্কাস, রিপন স্ট্রীট, আলিমুদ্দিন স্ট্রীটেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে দীর্ঘদিন যাতায়াত করেছেন। রিপন স্ট্রিটে ছিল ‘মিল্লাত’ পত্রিকার অফিস। ৪০, থিয়েটার রোডে থাকতেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হুসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। শেখ মুজিব ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ। কলকাতার যেসব জায়গা বঙ্গবন্ধুর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, সেগুলোর কথা তথ্যচিত্রে উঠে আসবে বলে জানা গেছে।
এসএ/