সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কিংবদন্তি আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদ

টাকার অভাবে থেমে আছে চিকিৎসা, দু’মুঠো ভাতের জন্য আর্তনাদ

 একটা সময় কী ছিল না তার? কে ছিল না তার পাশে? আজ সময়ের ব্যবধানে কিছুই নেই, পাশেও কেউ নেই। খ্যাতি, যশ ও জৌলুস সব ম্লান হয়ে গেছে। শখের গাড়ি, বসবাসের জন্য প্রিয় ফ্ল্যাট, অফিস, ক্যামেরা, চেয়ার-টেবিল সব বিক্রি করে দিতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। সব হারিয়ে নিঃস্ব তিনি। অসুস্থ অবস্থায় ধুকে ধুকে বেঁচে থাকলেও মরণের দিন গুণছেন প্রতিনিয়ত। কারণ, বেঁচে থাকার জন্য সুস্থতার পাশাপাশি মৌলিক চাহিদা পূরণের সক্ষমতা নেই তার। দরিদ্রের চেয়েও হতদরিদ্র হয়ে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছেন তিনি। বলছি অসংখ্য তারকা বানানোর কারিগর কিংবদন্তি আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদের কথা।

পাঁচবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে কোনো রকম বেঁচে ফিরলেও জীবন তাকে নিয়ে তামাশা করছে প্রতিনিয়ত। টাকার অভাবে আর স্বাভাবিক চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি। এদিকে চঞ্চল মাহমুদের স্ত্রী রায়না মাহমুদও মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুজনের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যেখানে দিনে ঠিক ভাবে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারছেন না, তারা কীভাবে চিকিৎসার জন্য এত টাকা যোগাড় করবেন। এত খ্যাতিমান একজন মানুষের জীবন এমন দুর্বিষহ হবে চোখে না দেখলে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।

প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ থেকে শুরু, চিত্রনায়িকা মৌসুমী, সাদিয়া ইসলাম মৌ, শমী কায়সার, নোবেল, আফসানা মিমিসহ কত কত শিল্পীদের তারকা হবার পেছনে অবদান রয়েছে এ চঞ্চল মাহমুদের। অথচ, আজ এ মানুষের কী নির্মম পরিণতি!

এ সম্পর্কে চঞ্চল মাহমুদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘এক সময় কতো কতো মানুষ ছিল আমার আশেপাশে। আজ কেউ নেই। কতো তারকাদের জীবন পাল্টে গেছে আমার হাত ধরে, অথচ আজ কেউ আমার খবর রাখে না। দুয়েক জন কাছের মানুষ এখনও আমাকে সহোযোগিতা করছে, কিন্তু যাদের কাছে আমার ভরসা ছিল তারা কেউ আমার খোঁজ রাখেনি। সবাই ভুলে গেছে আমার কথা।’

দেশে অসংখ্য পুরস্কারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার রয়েছে চঞ্চল মাহমুদের ঝুঁলিতে। কিন্তু খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য আজ তাকেই হাত পাততে হচ্ছে মানুষের কাছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইবার সবমিলিয়ে চঞ্চল মাহমুদের চিকিৎসার জন্য ১৫ লাখ টাকা সাহায্য করেছেন। কিন্তু চঞ্চল মাহমুদ ও তার স্ত্রী রায়না মাহমুদের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই ৮১ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ, গাড়ি ও বসবাসের জন্য যে ফ্ল্যাটটি ছিল তা বিক্রি করতে হয়েছে বেঁচে থাকার তাগিদে।

তাই চক্ষুলজ্জার কথা চিন্তা না করে দুমুঠো ভাত ও চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি সবার কাছে সাহায্য চাইলেন চঞ্চল মাহমুদ ও রায়না মাহমুদ দম্পতি।

কান্নাভেজা কণ্ঠে চঞ্চল মাহমুদ বললেন, ‘আমরা বাঁচতে চাই।’

রায়না মাহমুদও একই সুরে বললেন, ‘আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাই। এ ছাড়া কাছে দূরে সবার কাছেই সাহায্য চাই। আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। সবাই আমাদের পাশে দাঁড়ান।’

এএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আনুষ্ঠানিকভাবে ‘লক’ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি শাখা। এতে তাদের এনআইডি দিয়ে আর কোনো ধরনের নাগরিক সেবা, বিশেষ করে ব্যাংকিং লেনদেন বা সরকারি-বেসরকারি সেবা গ্রহণ করা সম্ভব নয়, কারণ কার্ডগুলো আর ভেরিফাই করা যাচ্ছে না।

ইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “লক” প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় এক মাস আগে, কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশনার ভিত্তিতে। তবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে রয়েছে ভিন্নধর্মী ব্যাখ্যাও।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভিভিআইপি (VVIP) পর্যায়ের অনেকেই নিজের নিরাপত্তা ও তথ্য অপব্যবহার রোধে স্বেচ্ছায় এনআইডি লক করার অনুরোধ জানান। প্রয়োজন হলে তা আবার ‘আনলক’ করা হয়।

লক করা ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন—শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ইসির এনআইডি শাখার সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, “এনআইডি লক করা হলে কার্ডটি কোনো কার্যক্রমে ব্যবহার করা যায় না। তবে এটি ভোটাধিকার বা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লক কার্যক্রম এমন এক সময়ে এলো যখন শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাংক হিসাব স্থগিত, তদন্ত ও রাজনৈতিক বিতর্কের ঝড় চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে, যা পরিচালনায় বাধা দিচ্ছে এনআইডি ভেরিফিকেশন না হওয়া।

Header Ad
Header Ad

রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় জুটি বাঁধছেন ইমন-দীঘি

মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছবি: সংগৃহীত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ছোটগল্প ‘দেনাপাওনা’ এবার রূপ নিচ্ছে বড় পর্দায়—আর এই সাহিত্যিক চরিত্রগুলোকে প্রাণ দিতে প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধছেন দুই প্রজন্মের জনপ্রিয় মুখ, মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।

সরকারি অনুদানে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন সাদেক সিদ্দিকী। আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল, এতে ‘নিরুপমা’ চরিত্রে অভিনয় করবেন দীঘি। এবার জানা গেল, তার বিপরীতে ম্যাজিস্ট্রেট চরিত্রে অভিনয় করছেন ইমন। কলকাতায় কর্মরত, জমিদার পরিবারের সন্তান এই চরিত্রটি গল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবেগীয় বাঁক তৈরি করে।

‘দেনাপাওনা’র গল্প আবর্তিত হয় বিয়ের সময় পণ দিতে না পারায় নিরুপমার পিতার আত্মহত্যা এবং সেই ঘটনার পরবর্তী সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিক্রিয়ার চারপাশে। এই ট্র্যাজিক কাহিনিকে আধুনিক সিনেমার ভাষায় ফুটিয়ে তুলতে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন পরিচালক ও তার দল।

চলচ্চিত্রটিতে কাজ করা প্রসঙ্গে ইমন বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের এই গল্পটি বহুবার পড়া, বিশ্লেষিত—তাই কাজটা সহজ নয়। চরিত্রগুলোর প্রতি মানুষের আবেগ আছে। চেষ্টা করব আন্তরিকভাবে চরিত্রটি তুলে ধরতে।’

চিত্রনাট্য লিখেছেন মিরন মহিউদ্দিন। ইমন ও দীঘির পাশাপাশি এই ছবিতে আরও রয়েছেন মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, অনন্ত হিরা, ইরা শিকদার, তানিন সুবাহ, সুমনা সোমা, রিপা, অভি ও সাব্বির।

Header Ad
Header Ad

বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। দেশে চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালসমূহ সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নূরজাহান বেগম বলেন, “দেশে চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি, বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।”

অনুষ্ঠানে রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আজ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হলেও রেলওয়ে হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে। বর্তমানে শুধু রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এসব হাসপাতাল থেকে সেবা পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীন ১০টি হাসপাতালকে যৌথভাবে পরিচালনার জন্য এ সমঝোতা স্মারক সই করা হয়, যা ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং চিকিৎসাসেবার মান বাড়াতে সরকার এই নিয়োগকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’
রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় জুটি বাঁধছেন ইমন-দীঘি
বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে একসঙ্গে শেখ হাসিনার সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান
তৃতীয় সন্তান নিলে তুর্কি নাগরিকদের মাসে ১৬ হাজার টাকা ভাতা দেবে সরকার
গোপনে বান্ধবীকে বিয়ে করলেন ‘টোয়াইলাইট’খ্যাত ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নেই প্রশিক্ষণ, মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা
মেঘনা আলমের মুক্তির দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে ২৭ বিশিষ্ট নারীর স্মারকলিপি
মারা গেছেন পোপ ফ্রান্সিস
দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের
আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আটক ৩ জন
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস