জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল
জায়েদ খান। ছবি: সংগৃহীত
শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছে সমিতির বর্তমান কমিটি। শনিবার (২ মার্চ) অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে দ্বি-সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর কারণ হিসেবে চিত্রনায়িকা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, ‘কোনো সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জনাব জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিক ভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় গত বছর এপ্রিলের দুই তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।’
এদিকে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তিনি শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে প্রধান নির্বচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন।
খসরু জানান, আজকের বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯ নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, কোনরূপ সাংগঠনিক দূর্বলতা না পেয়ে জনাব জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিক ভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় গত ০২/০৪/২০২৩ তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব জায়েদ খানের এর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আয়োজনে বার্ষিক বনভোজনে দাওয়াত পাননি জায়েদ খান। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
জায়েদ খান বলেন, ‘আমি তিন তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অথচ শিল্পী সমিতির পিকনিকে আমাকে কোনো কার্ড পাঠানো হয়নি। এমনকি কেউ ফোন দিয়েও পিকনিকের বিষয়ে আমাকে বলেনি। বিষয়টি সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেয় বর্তমান কমিটির।’
এর পেছনে শিল্পী সমিতিদের নেতাদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন অভিনেতা। তিনি বলেছেন, ‘যদিও এই কমিটি গত দুই বছর ধরে কোনো কাজ করেনি। একটা পিকনিক আয়োজন করেছে, সেখানেও আমাকে কার্ড পাঠাতে পারত। সেটা করেনি তারা। এটাকে তাদের ব্যর্থতা বলব আমি।’