১০০ কোটি টাকার মামলায় আদালতে সময় নিলেন শাকিব
ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এরপর মামলায় জবাব দাখিলের জন্য শাকিবের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।
সোমবার (১৫ মে) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে সমনের জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শাকিব খানের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৫ জুলাই সমনের জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৮ মে বাদীপক্ষ কোর্ট ফি দাখিল করায় শাকিব খানকে জবাব দাখিলের জন্য সমন জারি করেন।
তারও আগে ৩০ এপ্রিল ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে এ মামলা করেন রহমত উল্লাহ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জবাব দাখিলের জন্য ১৫ মে দিন ধার্য করেন।
গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রহমত উল্লাহর আইনজীবী।
গত ১৮ মার্চ রাতে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে গুলশান থানায় যান শাকিব খান। তবে সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। পরদিন ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব খান।
পরে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন। বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ২৬ এপ্রিল আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। এরপর রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা করেন শাকিব খান। আদালত পিবিআইকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর গত ১৫ মার্চ বিকালে প্রযোজক রহমত উল্লাহ এফডিসিতে গিয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
এএম/এসজি