এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১৪ ফেব্রুয়ারি
প্রতীকী ছবি
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা প্রত্যাশিত ফল না এলে তা আবার যাচাইয়ের আবেদন করতে এক সপ্তাহ সময় পাবেন। আগামী ১৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন।
পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা বোর্ডগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়া পরে শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটকের ওয়েবসাইট জানা যাবে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকাল সাড়ে ১১টায় আয়োজিত ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের বোর্ডের ফল তোলে দেন শিক্ষামন্ত্রীর হাতে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।
এরপর শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সিলেটে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ জন, কুমিল্লায় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩, বরিশালে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, জিপিও ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ জন, দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ জন। চট্টগ্রামে পাসের ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০, যশোর শিক্ষা বোর্ডে গড় পাশের হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ, এছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০৮৭৮ জন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৮ মাস পর ২ ডিসেম্বর ২০২১ শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা চলে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সর্বমোট ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩০ জন অংশ নেয়।
করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর বাংলা, ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন করা হবে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
এসএ/