ডোপ টেস্টের কার্যক্রম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে শুরু
ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছবিঃ সংগৃহীত
শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত কি না ডোপ টেস্টের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করে আবাসিক হলে আসন নিশ্চিত করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হয়েছে কিট। ৩৫০ টাকা খরচে এই টেস্ট করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো শিক্ষার্থীর মাদক গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি নয়, পরিচয় গোপন রেখে করা হবে কাউন্সেলিং।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট।
তারআগে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে ডোপ টেস্টের বিষয়টি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। আজকে দুপুর ১২ টা প্রযন্ত চলবে ডোপ টেস্ট। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ৪০ জন ডোপ টেস্ট করেছে। প্রথম দিনের হিসেবে আজকে মোট ৭২ জনের নমুনা সংগ্রহ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। ডোপ টেস্টের এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কো-অর্ডিনেটর করছেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান।
কয়েকটি পর্যায়ে করা হচ্ছে ডোপ টেস্ট। প্রথমে শিক্ষার্থীরা ডোপ টেস্টের ফিস জমা দেয়ার ব্যাংক রশিদ দিচ্ছে পরে নাম, বিভাগ,হল এন্ট্রি করছে,তারপর তাকে একটি টোকেন দিয়ে ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে নমুনা সংগ্রহের জন্য। পরে তাকে ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে মোবাইলে ক্ষুদ্র বার্তা জানানো হবে।
শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাইকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হলে মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে উঠবে বলে আমি মনে করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীরা।