বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নতুন পরিপত্র জারি
ফাইল ছবি
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে অনুসরণীয় এ পদ্ধতি কেবল প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সহকারী প্রধানসহ যেসব শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে সেসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে না।
গত ২৫ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত পরিপত্রটি রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে প্রকাশিত হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০৫ (২০০৫ সনের ১ নম্বর আইন)-এর ধারা ৮ (ট) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ওই আইনের ধারা ২ (ঝ)-তে বর্ণিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রথম প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওপর অর্পণ করে এ বিষয়ে উল্লিখিত নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে অনুসরণীয় এ পদ্ধতি কেবল প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সহকারী প্রধানসহ যেসব শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে সেসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে না।
নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য চাহিদাপত্র পাঠাতে হবে:
প্রত্যেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি অথবা গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে পরবর্তী পঞ্জিকা বছরে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়োগযোগ্য পদের একটি চাহিদাপত্র উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাবেন।
উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তার উপজেলা/থানার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা একীভূত করে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে একটি সংকলিত/সমন্বিত চাহিদাপত্র জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাবেন। জেলা শিক্ষা অফিসার এসব চাহিদাগুলো একীভূত করে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলার একটি সংকলিত/সমন্বিত চাহিদাপত্র এনটিআরসিএতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও মেধাতালিকা তৈরি:
এনটিআরসিএ দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষকদের নিয়োগযোগ্য পদের সমন্বিত চাহিদার আলোকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে নিবন্ধন পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক) গ্রহণ করবে এবং পদভিত্তিক চাহিদার ওপর মেধার ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করবে।
একইসঙ্গে পূর্ববর্তী নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও সর্বশেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অন্তর্ভুক্ত করে এবং ইতোপূর্বে নিবন্ধিত মেধা তালিকা বর্হিভূত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ঐচ্ছিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সম্মিলিত জাতীয় মেধাতালিকা হালনাগাদ করবে।
নিয়োগ সুপারিশের জন্য চাহিদা:
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পদ শূন্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামোতে সরকার নির্ধারিত কোটার প্রাপ্যতা উল্লেখ করে উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে এনটিআরসিএতে অনলাইনে চাহিদা পাঠাবেন। অনলাইনে চাহিদা পাঠানোর জন্য এনটিআরসিএ এর সংশ্লিষ্ট ওয়েবলিংক খোলা থাকবে। শূন্যপদের সঠিকতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এনটিআরসিএ প্রয়োজনে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান বুরো (ব্যানবেইস) অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের সহায়তা নেবে।
শূন্যপদের চাহিদা প্রাপ্তি সাপেক্ষে এনটিআরসিএ প্রয়োজনে তিন মাস অন্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে পারবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে প্রাপ্ত শূন্যপদের ভিত্তিতে ওয়েবসাইটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে এবং নিবন্ধিত প্রার্থীগণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ১৫ দিন অথবা এনটিআরসিএ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করবেন।
অনলাইনে আবেদন গ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে শূন্যপদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি পদের বিপরীতে প্রার্থীদের পছন্দ ও মেধার ভিত্তিতে একজন করে প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং তা প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করবে। এনটিআরসিএ প্রয়োজনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্যে তথ্য/সার্টিফিকেট/সনদ নির্বাচিত প্রার্থীকে দাখিল করতে বলতে পারবে। কেউ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ বা চাহিত তথ্য না দিলে তাকে সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
প্রাথমিক নির্বাচনের ফলাফলের পর কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় অনলাইনে শূন্যপদের চাহিদা পাঠাবে।
নিয়োগ সুপারিশপত্র ও নিয়োগপত্র:
নির্বাচিত প্রার্থী চাকরির জন্য উপযুক্ত মর্মে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির ভিত্তিতে অথবা ক্ষেত্র বিশেষে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ সুপারিশ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের পূর্বানুমোদনের ভিত্তিতে এনটিআরসিএ নিয়োগ সুপারিশ দেওয়ার আগে প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করবে। সে অনুসারে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে ক্ষেত্রমত ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে এক মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দেবে।