লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ৫ দিনের মধ্যে ভর্তির নির্দেশ
৫ দিনের মধ্যে স্কুলে ভর্তির নির্দেশ। ছবি: সংগৃহীত
লটারিতে প্রথম ধাপে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের আগামী ৫ দিনের মধ্যে ভর্তি সম্পন্নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি (সকল) ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফলের তালিকা (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ফলাফলের প্রথম তালিকা অনুযায়ী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
এরপর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু করতে হবে। ১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমিক নম্বর অনুসারে ৪ কর্মদিবস এবং ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমিক নম্বর অনুসারে ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের যেসব বিষয়গুলো অনুসরণ করতে বলা হয়েছে: কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনে Click করতে হবে। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানে কারা আবেদন করেছিল, সেই তালিকা পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত প্রথম তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এ লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে, তাও জানা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে নির্বাচিতদের তালিকা প্রদর্শন করবেন।
ভর্তির জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে: নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে)। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।
যেসব কারণে বাদ পড়বেন নির্বাচিতরা: ভর্তির সময়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।
কোটার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম প্রযোজ্য: শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওইসব কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্য কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপক্ষেমাণ তালিকার ক্রমানুসারে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মাউশির নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে দায়ী থাকবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা করা হয়।