শাবিপ্রবিতে আন্দোলনকারীদের হাতে ফেনসিডিলসহ গার্ড আটক
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে এক বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হয়েছেন এক যুবক। আটকের পর ওই যুবক নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের পাশের গ্যাস্ট হাউসের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে পরিচয় দেন এবং একজন শিক্ষক তাকে ঔষধ আনতে পাঠিয়েছিলেন বলে জানান।
আটক যুবকের নাম জাহিদুর রহমান। আর অভিযুক্ত শিক্ষক ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ফেনসিডিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যেতে থাকলে শিক্ষার্থীরা তাকে বহিরাগত সন্দেহে আটক করেন। পরে তার কাছে ফেনসিডিল পাওয়া যায়।
আটক যুবকের কাছ জাহিদুর রহমান নাম লেখা একটি আইডিকার্ড পাওয়া যায়। তাতক্ষণিক সে জানায়, আমাকে একজন স্যার বলেছেন এক লোক একটি ঔষধ দেবে তা এনে দিতে। ওই শিক্ষকের কথা মতো সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছ থেকে অপর লোকের দেওয়া ঔষধ নিয়ে আসে। এটি ফেনসিডিল তার জানা ছিল না।
তবে তাতক্ষণিক আটক যুবক শিক্ষকের নাম জানাতে পারেনি। পরে গণমাধ্যমকর্মী, পুলিশ ও তিন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে আটক যুবককে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে যাওয়া হলে ওখানে অবস্থানরত পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। পরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষকের ছবি দেখালে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারকে শনাক্ত করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ওই যুবক উপাচার্যের বাসভবনের দিকে ঢুকছিল। সে এখানকার আউট সোর্সিং এর সিকিউরিটি গার্ড। শিক্ষার্থীরা তাকে আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তার হাতে একটি বোতল পাওয়া যায়। ওই বোতলে ফেনিসিডিল লিখা। আটকের পর আমাদের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় তাকে এবং তার সাথে থাকা আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটক অপর ব্যক্তির নাম জানাতে পারেননি পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আজবাহার আলী শেখ আরও বলেন, আটকের পর সে একটি নাম বলেছে। যার কথা বলেছে তার ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসইউ/টিটি