শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গুচ্ছের গ্যাড়াকলে জবি, শঙ্কা সেশনজটের

গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ফাঁদে আটকা পড়ে বছরের প্রথম সপ্তাহেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২১-২২ সেশনের প্রথম বর্ষের পাঠদান এখনো শুরু হয়নি। এর আগে বছর শুরুর প্রথম দিন থেকেই বেশিরভাগ বিভাগের ক্লাস শুরু হতো। গত বছর ২০২০-২১ সেশনের ক্লাসও দুই মাস দেরিতে শুরু হয়। এবছরেও সেরকম শঙ্কা দেখা দিয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

এর আগে গত বছর ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২১-২২ সেশনের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের ৪ নভেম্বর প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশের পর ৭ নভেম্বর শুরু হয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশ করেও আসন পূর্ণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই সেশনের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস শেষ হয়ে পরীক্ষাও শুরু হয়ে গেছে। অথচ তারা এখনো ক্লাসের মুখই দেখতে পান না। একই সেশনের এমন বৈষম্য স্পষ্টত সেশনজটের শঙ্কায় ফেলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপকরা মনে করছেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলমান হওয়ায় ক্লাস শুরু হতে দেরি হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের শঙ্কা ও অতীতের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

এদিকে ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের সহযোগী পরিচালক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ বলেন, সপ্তম মেধাতালিকা থেকে ভর্তির পর মোট ২৭৬৫ আসনের বিপরীতে এখনো ৩৫৩ আসন খালি আছে। আমরা এই মাসের মধ্যেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করছি।

বিষয়টি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ধীরগতির কারণে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হতে দেরি হচ্ছে। এখন গুচ্ছ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অবিভাবকেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে দ্রুত ক্লাস শুরুর কথা বলেছি।

শিক্ষার্থী ভর্তির ধীরগতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, গুচ্ছের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুবিধা করতে গিয়ে আমরাই অসুবিধায় পড়েছি। এক শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকায় ভর্তি কার্যক্রম শেষ হতে সময় লাগছে। তবে একটু দেরিতে ক্লাস শুরু হলেও সেশনজট হবে না বলে আশা করছি। জানুয়ারির ২২ তারিখ থেকেই আমরা ক্লাস শুরুর চিন্তাভাবনা করছি। এর আগেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে।’

এসএন

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলের

ভূঞাপুর থানা ভবন যেনো মরণ ফাঁদ, খসে পড়ছে ভবনের প্লাস্টার

  টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানা ভবন দেয়াল ও ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানা ভবনটি পুরনো হওয়ায় দ্বিতল বিশিষ্ট ভবনের ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। এতে ভবনটিতে পুলিশি কার্যক্রম ঝুঁকিতে পড়েছে। ঝুঁকি জেনেও থানা ভবনে বসে কাজ করছেন কর্মরত পুলিশ সদস্যরা। ভবনটিতে পুলিশ থাকার প্রতিটি কক্ষগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে ভূঞাপুর থানা ভবন ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতল বিশিষ্ট ভবনটির উপর তলার বিভিন্ন কক্ষের ছাদে প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং লোহার রড বেড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ভবনটি দ্রুত সংষ্কার না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভূঞাপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৪ সালের ৭ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রী প্রয়াত এম মনসুর আলী ভূঞাপুর থানা উদ্বোধন করেন। ১৯৮৩ সালে ৯ই নভেম্বর ঢাকা বিভাগের ডি.আই.জি এম আজিজুল হক থানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এরপর মাঝেমধ্যে সংস্কার হলেও সেটি কোন কাজে আসেনি।

কর্মরত পুলিশ সদস্য খয়বর আলম বলেন, থানার এই ভবনটি বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বিকল্প ভবন না থাকায় এখানেই থাকতে হচ্ছে। প্লাস্টার খসে বালু ও ইটের খোয়া নিচে পড়ছে। বৃষ্টি নামলে চুয়ে চুয়ে কক্ষে পানি পড়ে। বর্তমানে ভবনটির সংস্কার অথবা আলাদা একটি নতুন ভবন প্রয়োজন।

পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা যে ভবনে বসবাস করছি এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং লোহার রডগুলোও বেরিয়ে যাচ্ছে। ঘুমে থাকলে ছাদের প্লাস্টার ভেঙে বালু অনেক সময় চোখে-মুখে পড়ে। আবার বৃষ্টি এলে পানি কক্ষে পানি পড়ে। যদি একটি নতুন ভবন হতো তাহলে এ সমস্যা থাকতো না।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্যরা মানুষের জানমাল ও জননিরাপত্তার জন্য কাজ করে থাকি। যারা দিনরাত পরিশ্রম করে, তাদের দিনশেষে ভবনে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর অবস্থা নেই। দুর্ঘটনার আতঙ্কে তাদের নির্ঘুম রাত পাড় করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, ভবনটির ছাদ ও দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চলছে। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। বর্তমান ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুন একটি ভবন নির্মাণ ও থাকার সু-ব্যবস্থা করার জন্য উধর্তন দপ্তরে আবেদনসহ অবগত করা হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

নীতিশের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরলো ভারত  

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পর নীতিশ কুমার রেড্ডি। ছবি: সংগৃহীত

মেলবোর্ন টেস্টের ব্যাকফুটে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ভারত। দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ ছিল ভারতের টপ অর্ডার। একই পথে হেটেছেন অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি-ঋষভ পান্তরা। তৃতীয় দিনের সকালে দ্রুত উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে সফরকারীরা। সেইসঙ্গে শঙ্কা ছিল ফলোঅনে পড়ার। তবে নীতিশ কুমার রেড্ডির ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ফলোঅনে এড়িয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে রোহিত শর্মার দল।

মেলবোর্ন টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫৮ রান করেছে ভারত। এখনও প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১১৬ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। তাদের হাতে আছে মাত্র এক উইকেট।

৫ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার পান্ত ও রবীন্দ্র জাদেজা সকালে ভালোই শুরু করেছিলেন। শুরুর আধা ঘন্টায় পেসাররা যে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন সেটা কাজে লাগাতে দেননি এই দুই ব্যাটার।

কঠিন সময় পার করে যখন বড় জুটি গড়ার দিকে এগোচ্ছিলেন তখনই পান্তকে থামিয়েছেন স্কট বোল্যান্ড। নাথান লায়নের হাতে ধরা পড়ার আগে ২৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এরপর রেড্ডির সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন জাদেজা। তবে জাদেজাও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫১ বলে ১৭ রান করেছেন তিনি।

২২১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারত তখন ফলো অনের শঙ্কায়। দলের এমন বিপদে ত্রাতা হয়ে হাজির হন রেড্ডি। তরুণ এই ব্যাটার এক প্রান্তে প্রতিরোধ গড়েন। আরেক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে রেড্ডিকে যোগ্য সঙ্গ দেন সুন্দর। এই দুজনে মিলে অষ্টম উইকেট জুটিতে তোলেন ১২৭ রান।
১৬২ বলে ৫০ রান করেছেন সুন্দর। তার এই ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল মাত্র একটি। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় মাটি কামড়ে উইকেটে পড়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।

সুন্দর ফিফটি করে ফিরলেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন রেড্ডি। অভিষেক সেঞ্চুরি পেতে তিনি খেলেছেন ১৭১ বল। ভারতের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। দিন শেষে তিনি অপরাজিত আছেন ১০৫ রান করে।

শেষদিকে আলোক স্বল্পতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দিনের খেলা শেষ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।

Header Ad
Header Ad

আগামী নির্বাচনে জনগণ দিনের আলোতে প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবে

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, রাতের অন্ধকারে নয়, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ দিনের আলোতে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে। আগামী বছরের শেষদিকে কিংবা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মাদার্সা যুব উন্নয়ন পরিষদের উদ্যগে আবু হুরাইরা মাদ্রাসা মাঠে গরিব অসহায় এক হাজার পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

এইসময় তিনি আরও বলেন, নানামুখী আন্দোলন-সংগ্রাম ও নাশকতার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। দেশ পুনর্গঠনে ও সংস্কারে সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

মাদার্সা যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে চট্রগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভূঞাপুর থানা ভবন যেনো মরণ ফাঁদ, খসে পড়ছে ভবনের প্লাস্টার
নীতিশের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরলো ভারত  
আগামী নির্বাচনে জনগণ দিনের আলোতে প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবে
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন
সিলেট সীমান্তে ভারতীয়র গুলিতে দুদিনে ২ বাংলাদেশি নিহত
১৭ বছর নয়, ১৮ বছরই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য: মির্জা ফখরুল  
৭০ বছর পর বদলে যাচ্ছে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম
সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: জামায়াত আমির
টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে ধাক্কা, সেই বাসচালক গ্রেপ্তার  
বিপিএলে রাজশাহীর সহকারী কোচ হলেন পাকিস্তানের ইফতিখার
ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনে আওয়ামী লীগের গা জ্বলতো: রাশেদ খান  
প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে আইনি নোটিশ
সেনাবাহিনী নিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, প্রতিবাদ আইএসপিআরের
অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনায় থাকতে পারে না: মির্জা ফখরুল ইসলাম  
ভিনিসিয়ুস কাণ্ডে ব্যালন কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন রোনালদো
সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার
আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস
গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!