কোনোরকমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হবে বশেমুরবিপ্রবিতে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবাষিকী ৮ জুলাই।
এই বছর ২১ বছরে পা দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্ম এবং কবরস্থানে প্রতিষ্ঠিত মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গড়া বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়টি।
তবে ইদ-উল আজহার ছুটি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিষ্ঠাবাষিকী সেদিন পালন করতে পারেনি।
তারা ২৮ জুলাই ২০ দিন পর পালনের কর্মসূচি নির্ধারণ করেন।
তবে অনিবার্য কারণে ঠিক একদিন আগে আবারো পেছানো হয়েছে জন্মদিন পালনের তারিখ।
বুধবার, ২৭ জুলাই ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোরাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানিয়েছে বশেমুরবিপ্রবি।
তারা উদযাপনের তারিখ পেছানোর নির্দিষ্ট কোনো কারণ করেননি।
জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনিবার্য কারণবশত পূর্বনির্ধারিত ২৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে ৩১ জুলাই উদযাপন করা হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে দায়সারা কর্মসূচীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে-৩১ জুলাই সকাল ১০ টায় প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হবে। এরপর কবুতর ওড়ানো হবে। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে এরপর একই স্থান থেকে জন্মদিনের কেক কেটে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে।' তারপর আলোচনা, স্বাভাবিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছাত্র, ছাত্রীদের।
এই কমসূচিগুলো জেনে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সর্বস্তরের, সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীরা।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব জানিয়েছেন, ‘আমি থাকতে পারব না। জরুরী মিটিংয়ের জন্য ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রধান কার্যালয়ে যেতে হবে।’ তারপরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে খুবই সাদামাটা আয়োজন কেন-এই প্রশ্নের জবাবে তার ছাত্র ও সাংবাদিককে বলেছেন, ‘বড় অনুষ্ঠান বা সারাদিনের আয়োজন না করতে পারার প্রধান কারণ-আমার তো ফান্ড নেই। এই কাজে ইউজিসি এক পয়সাও ফান্ড দেয় না। ছাত্র, ছাত্রীদের কাছেও আমরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কারণে কখনোই এক পয়সাও নিতে পারিনি। আমি, আমরা ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করি না। ফলে যা করতে হয় প্রশাসনের সামর্থ্যের মধ্যে করতে হয়।’
‘আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়’-বলেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব।
এরপর ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপন কমিটির প্রধান ড. মো. শাহজাহানের সঙ্গে কথা বলতে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
ওএফএস।