শিক্ষা ক্ষতি কমাতে কাজ করবে মন্ত্রণালয়, ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স প্ল্যান (সিএসএসআর)-এর আওতায় ডিজিটাল কন্টেন্ট উন্নয়ন ও প্রচারের উদ্যেগ শুরু হতে যাচ্ছে। ইউনিসেফ এবং বিশ্বব্যাংকের প্রযুক্তি সহায়তায় পরিচালিত এই উদ্যোগের জন্য ৪৭.৭৯ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য দিচ্ছে দ্য গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)।
সমন্বিত দূর-শিক্ষণ কন্টেন্ট তৈরিতে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্ষতি কমিয়ে আনতে ইউনিসেফ, সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করবে।
'সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত অংশের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে টেলিভিশন, জাতীয় এবং কমিউনিটি রেডিও, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এর জন্য আরও ইন্টারেক্টিভ ডিজিটাল শিক্ষা সামগ্রীর প্রাপ্যতা বাড়াতে জিপিই এবং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কাজ করবে ইউনিসেফ বাংলাদেশে।
ডিজিটাল কন্টেন্ট ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার আপদ মোকাবেলার শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি, ডিজিটাল শিক্ষা ইকোসিস্টেম, পাঠ্যক্রম, শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্ভাবন, শিশু নিরাপত্তা, দক্ষ শিক্ষকসহ আরও অনেক বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেবে।
শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষে এই কার্যক্রমে জাতীয় পাঠ্যক্রমের সাথে ডিজিটাল শিক্ষার বিষয়বস্তু বা কন্টেন্টের সমন্বয় নিশ্চিত করা হবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারা বাংলাদেশে স্কুলগুলি টানা ৫৪৩ দিনের বেশি বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে পুনরায় খোলা হয়। এর ফলে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় থেকে মাধ্যমিক (অপ্রাতিষ্ঠানিক সহ) পর্যায় পর্যন্ত ৩.৫ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী (অর্ধেকের বেশি মেয়ে) ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং এই সময়ে শিক্ষা একটি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
বছরব্যাপী এই প্রকল্পটি এমন সব কাজকে সমর্থন করবে যা শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষতি কমিয়ে আনবে। কোভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করে, শিক্ষা খাতকে ভবিষ্যতের ধাক্কা সামলানোর উপযুক্ত করতে বাংলাদেশ সকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করবে।
ইউনিসেফ এই ডিজিটাল শিক্ষার কন্টেন্ট উন্নয়নে সরকারকে সহায়তা করবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫০,০০০ মুদ্রিত শিক্ষা প্যাকেজ তৈরি করবে।
দ্য গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৬৬টি দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় তহবিল বরাদ্দ করছে, যার অংশ হিসাবে সিএসএসআর প্রকল্পের আওতায় জিপিই-এর অনুদান এজেন্ট হিসাবে বিশ্বব্যাংকের থেকে বাংলাদেশ ১.৫ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা পেয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইউনিসেফ বাংলাদেশ
কেএফ/
