গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ৩০ জুলাই শুরু, ফি ১৫০০ টাকা
দেশের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় একমাস এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা জুলাইয়ের শেষে ও আগস্টে নেওয়া হবে।
গতবছরের চেয়ে এবছর বেড়েছে আবেদন ফি। গতবছর পরীক্ষার ফি ১২০০ টাকা নেওয়া হলেও এবার তা বৃদ্ধি করে ১৫০০ টাকা করা হয়েছে। ভর্তি নির্দেশিকা তৈরি ও আবেদন শুরু করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
সোমবার (৩০ মে) রাতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত উপাচার্যদের একটি সভা শেষে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকাপ্রকাশকে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক।
ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক ঢাকাপ্রকাশকে জানান, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ৩০ জুলাই 'ক' ইউনিট, ১৩ আগস্ট 'খ' ইউনিট, ২০ আগস্ট 'গ' ইউনিট অনুষ্ঠিত হবে। আর আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৫০০ টাকা। এবার পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৩০।
ইমদাদুল হক আরও বলেন, গতবার পরীক্ষার্থী সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও এবার আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই পরীক্ষা দেওয়া যাবে। এছাড়াও ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা একটি কেন্দ্র সিলেক্ট করবে এবং সেখানেই পরীক্ষা দিতে পারবে। আমরা এবার চেষ্টা করবো একসঙ্গে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে যাতে ক্লাস শুরু করতে দেরি না হয়, এমনকি ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। ভর্তি নির্দেশিকা তৈরি ও আবেদন শুরুর তারিখ নির্ধারণ করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল গুচ্ছের সমন্বয় কমিটির সভায় এই পদ্ধতিতে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর, ১০ সেপ্টেম্বর মানবিক আর সবশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিলেও এবার নতুন ২টি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে।
গুচ্ছভুক্ত ২২ টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরএ/