শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিখতে না পারলে সবাই ব্যর্থ হবেন : ডা. দীপু মণি
লেখা ও ছবি : আতোয়ার রহমান, প্রতিনিধি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর করণীয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেছেন, ‘আমাদের দেশের সব ধরণের সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই জায়গা বা আকার, আয়তন ও সুবিধা এবং ছাত্র, ছাত্রী ও অধ্যাপকদের সংখ্যা বাড়ানোর আগে তাদের প্রত্যেকের শিক্ষার মান বাড়ানোর দিকে অধ্যাপকদের সবাইকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়টি অত্যন্ত জরুরী।’
ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি আজ ১১ মে আরো বলেছেন, ‘ধারণ ক্ষমতা ও পড়ালেখার মান-এই বিষয়ের সমন্বয় না করে ছাত্র, ছাত্রী বাড়ানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, অংশ নিয়ে চলেছেন অধ্যাপকরা। এই বিষয়গুলোর অনেক ধরণের কুফল আমরা দেখতে পারছি।’
‘আমাদের দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট আছে। প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কোনোটিরই পূর্ণ খেলার মাঠ নেই। নানা ধরণের শিক্ষা ও শিক্ষাসহায়ক কার্যক্রমের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেই, জায়গা নেই, উদ্যোগ নেই। আরো অনেক সমস্যা তো আছেই।’
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, প্রশাসক, ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকতা এবং কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, ‘আপনারা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই কখনো, কোনোদিন ছাত্র, ছাত্রী ভর্তির অসুস্থ কোনো প্রতিযোগিতায় নামবেন না। আপনারা সবাই জ্ঞান ও বিকাশ এবং উদ্ভাবন এবং দক্ষ মানবশক্তি তৈরির প্রতি মনোযোগী হোন।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি এই আলোচনায় আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন সবাইকে, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিপুল ও বৃহৎ ধারণা। এই ধারণা ও পরিপাশ্বের বিকাশ ঘটাতে হলে আমাদের সবাইকে আবারও জ্ঞানচর্চার বাইরে এসে নতুন প্রজন্মের জন্য জ্ঞান সৃষ্টির কাজে নামতে হবে। তাদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে হবে। ফলে আগামীর উদ্ভাবনের বাংলাদেশ তৈরি করা যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ ধরে।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিটির রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সুবিধাবাদী ছাত্র্, ছাত্রী এবং শিক্ষকদের শিক্ষামন্ত্রী আবারও জানিয়েছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্লোগান ধরার কোনো জায়গা নয়, পড়ালেখার পবিত্র স্থান।’
তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের এবং আপনাদের সবাইকে পড়তে হবে, জ্ঞানের এবং বিকাশের চর্চা করতে হবে। সেই পড়ালেখা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন, আজকের জন্য থাকতে হবে, যেখান থেকে সৃষ্টিশীলতা শেখা ও চর্চা করা সম্ভব হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিখতে না পারলে সবাই ব্যর্থ হবেন।’
ওএস।