আগামী বছর থেকে দেশের সব স্কুলে লটারি : শিক্ষামন্ত্রী
বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত
আগামী শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলগুলোতে (মহানগর ও জেলা পর্যায়) প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) মিলনায়তনে বোতাম চেপে ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষমন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে দেশের সব বেসরকারি স্কুল শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির আওতায় আসবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই লটারি শিক্ষার্থীদের ভর্তিযুদ্ধের অবস্থা থেকে রক্ষা করবে। রক্ষা করবে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও অনৈতিক চাপ এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে।' এই লটারির ফলে ভর্তিকে কেন্দ্র করে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাওজিয়া করিম, নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. নিজামুল করিম ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
কেন্দ্রীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান টেলিটকের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তির এ লটারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই লটারির আওতায় এসেছে মহানগর ও জেলা পর্যায়ের দুই হাজার ৯০৭টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য ৯ লাখ ৪০ হাজার আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৬৮ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন জমা পড়েছে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী http://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল জানতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রমে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারেনি সেসব স্কুলেও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে বলা হয়েছে।
লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করা হবে। আর ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।
এপি/