কারাদণ্ডের বিধান রেখে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষা আইন অনুমোদন
সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদন্ডের বিধান রেখে সরকার ‘বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এটি এতো দিন ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশে পরিচালিত হচ্ছিল। অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরিত করে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আপনারা জানেন যে, উচ্চ আদালতের একটা নির্দেশনা রয়েছে সকল অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতে হবে। বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা মূলত ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ। এটিকে আইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। অধ্যাদেশে যা ছিল তার সবই এখানে আছে। ৫০টি ধারা আছে। শুধু নতুন করে যুক্ত হয়েছে একটি বোর্ড গঠনের বিষয়। এই বোর্ড সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশের যেকোন জায়গায় শাখা বা আঞ্চলিক কার্যালয় করতে পারবে। একটা পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। একজন রেজিস্ট্রার থাকবেন।
প্রতি বছর শেষে বোর্ড সরকারের কাছে তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। এছাড়া একটি মেডিকেল কাউন্সিল থাকবে। বিএমডিসি যেরকম আছে সেভাবে। এই কাউন্সিল একাডেমিক সাইট দেখবে। কাউন্সিলের একজন সভাপতি থাকবেন। সভাপতি তারাই নির্বাচন করবেন। যদি তারা নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে সরকার সভাপতি নির্বাচন করে দেবে।
১৯ সদস্যের কাউন্সিল একাডেমিক সাইট দেখবে। এই কাউন্সিলে ১৬ ক্যাটাগরির প্রতিনিধি থাকবেন। এরমধ্যে তিন জন সংসদ সদস্য থাকবেন। কাউন্সিল তিন বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কাউন্সিল ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারি ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন দেখবে। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণা বা বিশেষ চিকিৎসা প্রবর্তন করাসহ অন্যন্য গবেষণা কেন্দ্র, একাডিমিক প্রতিষ্ঠান, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক গবেষণার অনুমোদন, আর্থিক অনুদান প্রদান, স্বীকৃতি প্রদান ও প্রকাশনা এগুলোর বিষয় দেখবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এই আইনে সাজার বিধান রাখা হয়েছে। কোন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে এক বছরের কারাদণ্ড কিংবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
একইভাবে অনুমোদন ব্যতিত ওষুধ সেবনের ব্যবস্থাপত্র বা পরামর্শ যদি কেউ দেয় তাহলে এক বছরের কারাদণ্ড এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কোন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ডিগ্রীর অনুকরণ করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা তাদের নামের পাশে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে কাউন্সিল সিদ্ধান্ত দেবে।
এনএইচবি///