প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য গুজব: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার তথ্য গুজব বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় প্রথম ধাপে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর পর রাজধানীর ইডেন কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো প্রশ্নফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আমরা পাইনি। যদি কারও কাছে তথ্য থাকে, আমাদের জানাবেন। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানামুখী পদক্ষেপের মধ্যে এই বিরাট সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ একটি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০১টি; কিন্তু বিরাট সংখ্যক সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় এবং সম্প্রতি আরও অন্তত ১০ হাজার শিক্ষক অবসরে চলে যাওয়ায় শূন্য পদের এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। সবমিলিয়ে এই সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার।
সারাদেশে মোট ১ হাজার ৮১১টি কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। মহিলা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন পরীক্ষার্থী। প্রথম ধাপে ঢাকাসহ ২২টি জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ১৪টি জেলার সব উপজেলা এবং ৮টি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আগামী ২০ মে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তখন ৩০ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৩ জুন। তৃতীয় ধাপে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এ ধাপে ৩১ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এসএ/