রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। -ফাইল ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির অন্তত ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বিমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) একটি অডিট রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

কোম্পানিটির বরখাস্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) অডিটটি পরিচালনা করে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস অবশ্য কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।

২০২৩ সালে গোলাম কুদ্দুসকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগসহ ১৭টি অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য আইডিআরএ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অডিট ফার্ম হোদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানিকে নিয়োগ দেয়।

সোনালী লাইফ পরবর্তীতে রাশেদকে বরখাস্ত করে। গোলাম কুদ্দুসের বড় মেয়ের সাবেক স্বামী রাশেদ। কোম্পানির টাকা আত্মসাতের মামলায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

অডিট শুরু হওয়ার পর ১৮ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন গোলাম কুদ্দুস।

অডিট প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইডিআরএ কোম্পানিটি পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগের কথা ভাবছে।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা কোম্পানি ও পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

অডিটে দেখা গেছে, গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্য পরিচালক হিসেবে নিজেদের জন্য শেয়ার ইস্যু, গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন কোম্পানিকে অবৈধ অর্থ প্রদান এবং তার পরিবারের সদস্য পরিচালকদের বেতন পরিশোধসহ বিভিন্ন উপায়ে তহবিল আত্মসাৎ করেছেন।

অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কেনা এবং গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য পরিচালকদের অতিরিক্ত লাভ দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসার বিলের মাধ্যমে তারা বিপুল অর্থ পকেটে ভরেছে।

তারা গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স পলিসি থেকে অবৈধ কমিশনের মাধ্যমেও মোটা অঙ্কের টাকা আয় করেছে, বলা হয়েছে ওই অডিট রিপোর্টে।

ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেশন লিমিটেড, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড এবং ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড অস্থাবর সম্পদ কেনার জন্য সোনালী লাইফ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পেয়েছে, যার অনুমোদন দিয়েছেন গোলাম কুদ্দুস।

অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের অর্থপ্রদানের জন্য আইডিআরএর অনুমতি প্রয়োজন হলেও কোম্পানিটি তা নেয়নি, যা অবৈধ।

২০১৮ সালে সোনালী লাইফ প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে নিজের পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চেয়েছিল এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর অনুমোদন দেয়।

কিন্তু পরিবারের চার সদস্য পরিচালক নূর-ই-হাফজা, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, এস সোবহান চৌধুরী ও শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে কোনো টাকা না নিয়েই অভিহিত মূল্যে তাদেরকে নয় কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার দেওয়া হয়। এটি করা হয় ২০১৮ সালের ১৪ জুন।

একই দিনে অন্য তিনজন পরিচালক মায়া রানী রায়, এ রাজীব সামদানী ও হোদা আলী সেলিমও শেয়ার পেয়েছেন কোনো টাকা না দিয়েই। তবে, তাদের শেয়ারের অভিহিত মূল্য ছিল দ্বিগুণ। এই তিন পরিচালক গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য নয়।

অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাম কুদ্দুস তার স্ত্রী ফজলুতুন নেসার কাছ থেকে ছয় লাখ ২৫ হাজার, ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান ও মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার কাছ থেকে ২৬ দশমিক আট লাখ, সোবহানের স্ত্রী এস সোবহান চৌধুরীর কাছ থেকে তিন লাখ এবং মেয়ের স্বামী ড্যানিয়েলের কাছ থেকে ১২ লাখ শেয়ার পেয়েছেন।

পরে গোলাম কুদ্দুস তার এক মেয়ের কাছে ১৪ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার, স্ত্রীর কাছে দুই লাখ ৩০ হাজার শেয়ার এবং ছেলে ও পুত্রবধূর কাছে ছয় লাখ ৫০ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করেন।

এর মাধ্যমে একই পরিবারের সাত সদস্য কোম্পানি বোর্ডে পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে অডিট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে, সোনালী লাইফের ২০ জন পরিচালক রয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজন একটি পরিবারের সদস্য।

কোম্পানির একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির সাত লাখ ৮৮ হাজার বিমা গ্রাহক রয়েছেন এবং এর পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি টাকা। গত বছর কোম্পানিটি বিমার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৮৩২ কোটি টাকা।

অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনালী লাইফ আর্থিক আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে কয়েকজন পরিচালকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, ফলে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। এতে বিমাকারী ও গ্রাহকদের ক্ষতি করছে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮ কোটি টাকা অবৈধভাবে বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই গোলাম কুদ্দুসের ব্যক্তিগত ব্যবসা ড্রাগন সোয়েটারের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছিল, যা অবৈধ।

এ ছাড়া, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিমা কোম্পানিটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হয়ে গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন একটি কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।

অডিট প্রতিবেদনে এটিকে 'জালিয়াতি, অর্থ পাচার ও আত্মসাৎ' বলে অভিহিত করা হয়েছে।

অডিটে আরও দেখা গেছে, বছরে গড়ে ২২ কোটি টাকা বা মাসে প্রায় দুই কোটি টাকা নগদ ব্যয় করা হয়েছে এবং নগদ চেকের মাধ্যমে বেশকিছু এককালীন বড় লেনদেন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অর্থ তছরুপের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

কোম্পানিটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভসহ প্রায় সব স্বাক্ষরকারীই গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য এবং এর ফলে এসব লেনদেনে তারা কোনো প্রশ্ন তোলেননি।

সীমাবদ্ধতা থাকায় কোম্পানিতে হওয়া অন্যান্য দুর্নীতি এই অডিট প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানির সার্বিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য একটি বিশদ অডিট প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ বা তথ্য গোপন করা, অস্বচ্ছ অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতি কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গোলাম কুদ্দুস বলেন, এই অডিট প্রতিবেদনের ফলাফল 'অসত্য' এবং তিনি শিগগিরই তার অবস্থান স্পষ্ট করে আইডিআরএকে চিঠি দেওয়ার 'প্রস্তুতি' নিচ্ছেন।

আইডিআরএর তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনালী লাইফের সারা দেশে ২৬ হাজার ৬৯৩ জন বিমা এজেন্টসহ ২০৪টি শাখা রয়েছে। এটি ২০২০ সালে মোট বিমা দাবির ৯৯ দশমিক নয় শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৯৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১২২ কোটি ২৬ লাখ টাকার প্রায় সব বিমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে।

 

সংবাদ সূত্র: ডেইলি স্টার

Header Ad
Header Ad

বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে একসঙ্গে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া  

ছবিঃ সংগৃহীত

 

ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়ই নানা চর্চা চলে। এমনকি আলোচনা বিচ্ছেদ পর্যন্তও গড়ায়। বিচ্ছেদের সব গুঞ্জন উড়িয়ে একসঙ্গে দেখা গেল এবার বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনকে। তাদের সঙ্গেই ছিলেন মেয়ে আরাধ্যা। এমন পরিস্থিতিতে বিচ্ছেদের জল্পনায় পানি ঢেলে দিলেন জুনিয়র বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে মুম্বাইয়ের সান-অ্যান্ড-স্যান্ড হোটেলে একটি বিয়ের রিসেপশনে একসঙ্গে ধরা দিলেন দুজনে। এবার সেই গুঞ্জনে ইতি টানলেন এ দম্পতি।

কলকাতা২৪/৭ সূত্রে জানা গেছে, অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিচ্ছেদের খবর এখন টক অব দ্য টাউন৷ দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন চলছে৷ সেই গুঞ্জনে এবার ইতি টানলেন বলিউডের এই পাওয়ার কাপল৷ বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাইয়ের সান-অ্যান্ড-স্যান্ড হোটেলে একটি বিয়ের রিসেপশনে একসঙ্গে ধরা দিলেন দু’জনে। আয়েশা ঝুলকা, অনু রঞ্জন এবং অন্যান্য সেলিব্রিটির সঙ্গে পোজও দিলেন হাসিমুখে। পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ঐশ্বরিয়ার মা বৃন্দা রাইও৷

দীর্ঘদিন কোনো অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যায়নি অভিষেক ও ঐশ্বরিয়াকে৷ বচ্চন পরিবারের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছিল রাই সুন্দরীর৷ সম্প্রতি দুবাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়ার নামের পাশ থেকে উধাও হয়েছিল বচ্চন পদবি৷ এদিকে নিমরত কৌরের সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় কানাঘুষা৷ কিন্তু এতদিনের জল্পনায় রীতিমতো পানি ঢাললেন জুনিয়র বচ্চন ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী৷ তারা একফ্রেমে ধরা দিতেই ভাইরাল হলো অ্যাশ-অভির ছবি৷

ফিল্ম প্রযোজক অনু রঞ্জন অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করে লিখেলেন—অনেক ভালোবাসা ও উষ্ণতা। ফিল্ম প্রযোজক মনীশ গোস্বামীর শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, একে অপরের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে অতিথির সঙ্গে ছবি তুলছেন বচ্চন দম্পতি। অভিনেত্রী আয়েশা ঝুলকাও পার্টির নানা মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন৷ অনলাইন ফিল্ম স্ট্রিমিং পরিষেবা।

এর আগে আরাধ্যার জন্মদিনেও কাছাকাছি এসেছিলেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। মেয়ে ১৩তম জন্মদিনও একসঙ্গে সেলিব্রেট করেছিলেন তারা। নেটিজেনরা অবশ্য প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন, মেয়ের জন্মদিনের পার্টিতে যাননি অভিষেক৷ কিন্তু পরে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, যেখানে একসঙ্গে দেখা যায় ঐশ্বরিয়া ও অভিষেককে৷

তাদের সাম্প্রতিক ছবি দেখে বোঝা দায়, তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছিল৷ হতে পারে জুনিয়র বচ্চনের সঙ্গে মান-অভিমানের পালা মিটিয়ে ফেলেছেন রাই সুন্দরী ৷ আবার এটিও হতে পারে আদৌ হয়তো কোনো দূরত্বই তৈরি হয়নি৷ সবটাই ছিল জল্পনা৷

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া৷ ২০১১ সালে তাদের জীবনে আসে মেয়ে আরাধ্যা৷

Header Ad
Header Ad

অব্যাহতিপ্রাপ্তি এসআইদের সচিবালয়ে অবস্থান, চাকরি পুনর্বহালের দাবি

ছবিঃ সংগৃহীত

চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালয়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টররা( এসআই) অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর গেটে অবস্থান করতে দেখা যায় তাদের।

অবস্থান কর্মসূচি অংশ নেয়া অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টররা বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আমাদের সেদিন কোনোরকম শোকজ লেটার ছাড়াই অব্যাহতি দিয়ে বের করে দেন। কারণ হিসেবে তুচ্ছ বিষয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ দেখানো হয়েছে, তা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত না। আমরা আমাদের চাকরি পুনর্বহাল চাই।’ সারদায় তাদের ব্যাচের যে কয়েকজন প্রশিক্ষণরত রয়েছেন, চাকরিতে পুনর্বহাল করে তাদের সঙ্গে পোস্টিং দেয়ারও দাবি জানান তারা।

তারা আরো বলেন, কোনো বেতন ছাড়া এতোদিন ট্রেনিং করার পর আমাদের অন্যায়ভাবে বাদ দেয়া হয়েছে। ক্লাস ও খাবারের বিশৃঙ্খলার যে অজুহাতে বাদ দেয়া হয়েছে, তার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাও বলেছেন সেদিন এমন কিছু ঘটেনি। তাহলে কেন আমাদের বাদ দেয়া হলো? আমরা আমাদের ন্যায্য চাকরি ফেরত চাই। আমরা রাস্তায় অবস্থান করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে এভাবে কেন বৈষম্য করা হচ্ছে, আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এরআগে, কয়েকধাপে সাব-ইন্সপেক্টরদের ট্রেনিং শেষ হওয়ার পূর্বেই ৩২১জন ক্যাডেটকে বাদ দেয়া হয়। অব্যাহতি দেওয়ার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

এ বছরেই বড় পর্দায় হাজির হতে চান সাফা কবির

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির। ছবিঃ সংগৃহীত

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির। নাটক ও ওটিটি কনটেন্টে অভিনয়ে গেল বছর বেশ সরব ছিলেন সাফা কবির। বছর জুড়েই ভিন্ন সব চরিত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন এ অভিনেত্রী। এ ছাড়াও বছর শেষে হাতে ওঠে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। আলোক হাসানের পরিচালনায় ‘পারুল’ নাটকের জন্য ‘বেস্ট ক্রিটিকস অ্যাক্টর’ হিসাবে বিনোদন সাংবাদিকদের সংগঠন সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড পান সাফা।

অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি জানান, চলতি বছরে নিজেকে আরও ভালো কাজে যুক্ত করতে চান। সঙ্গে নানামাত্রিক চরিত্রে নিজেকে প্রমাণিত করতে চান। এ ছাড়াও এ বছরে সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গেও ইচ্ছা প্রকাশ করেন এ অভিনেত্রী।

সাফা কবির বলেন, ‘সিনেমায় আসার ইচ্ছা আমার অনেক আগে থেকেই রয়েছে। কিন্তু সেভাবে ভালো গল্প ও চরিত্র পাইনি। তাছাড়া পরিচালকরাও সেভাবে আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন না বা তাদের ডাকও পাচ্ছি না। দর্শকদের মতো আমিও অপেক্ষায় আছি ভালো সিনেমা নিয়ে হাজির হতে। সবকিছু মিলে গেলে এ বছরেই বড় পর্দায় হাজির হব। আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে। তাই অভিনয়ের ইচ্ছাটা আরও প্রবল বেড়েছে। সময়ের হাতে ছেড়ে দিলাম সব কিছু। দেখা যাক কি হয়।’ গেল বছরে ‘টিকিট’ নামে একটি ওটিটি কনটেন্টে সাফাকে দেখা গেছে।

এ ছাড়াও ‘সুপার ওয়াইফ’, ‘ফিদা’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘জাদুর শহর’, ‘১০০ বিঘা ফুল বাগান’, ‘ফিল মাই লাভ’, ‘লাভ বাজ’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘একটু আধটু প্রেম’ নামে নাটকে তার অভিনয় আলোচনায় আসে। চলতি বছরও গল্পপ্রধান চরিত্রে কাজ করতে চান এ অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় মনে করি গল্প হচ্ছে আসল হিরো। কিন্তু ইদানিং শক্তিশালী গল্পের দেখা খুব কম পাচ্ছি। তবে আমার হাতে কিছু পছন্দের গল্প রয়েছে, সেগুলো নিয়ে চলতি বছরে হাজির হব।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে একসঙ্গে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া  
অব্যাহতিপ্রাপ্তি এসআইদের সচিবালয়ে অবস্থান, চাকরি পুনর্বহালের দাবি
এ বছরেই বড় পর্দায় হাজির হতে চান সাফা কবির
থানা থেকে আ.লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে জামায়াতের বিক্ষোভ-মিছিল
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু
নওগাঁর বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার
লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, ৭ বছর পর দেখা হচ্ছে মা-ছেলের
সপ্তাহের প্রথম দিন ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল
হাসিনার ঘনিষ্টদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগে যা বললেন টিউলিপ  
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল, আপিল খারিজ
তাহসানের বিয়ের খবরে, মিথিলার ভাঙ্গনের সুর  
নতুন ইউনিকর্ন বাইক আনছে হোন্ডা  
রূপপুরে রুশ নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতের বিদায়, ফাইনালে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া  
বাইডেনের স্ত্রীকে হীরা উপহার দিয়েছেন মোদি  
দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ
সহজ জয়ে বছর শুরু বার্সেলোনার  
১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ হারল ভারত
সেই পানামা ফারুকের মেয়ে রোজাকেই বিয়ে করলেন তাহসান
যুক্তরাষ্টের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পাচ্ছেন মেসি