শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘পদ্মা সেতু’ দেশের অর্থনীতির নতুন লাইফ লাইন

সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯ জেলা তো বটেই বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন লাইফ লাইন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে আজ। যা দেশের অর্থনীতিতে প্রায় ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে।

প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দেশের অন্যতম বড় যোগাযোগ অবকাঠামো স্বপ্নসারথি পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতি। আমূল পরিবর্তন আসবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায়। ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ হবে ব্যবসা-বাণিজ্য। গড়ে উঠবে শিল্প কারখানা। সমৃদ্ধির পথে হাঁটবে বাংলাদেশ। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যাবে অনন্য উচ্চতায়।

পদ্মা নদীর কারণে রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগেরই পাঁচটি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল বছরের পর বছর। শুধু ঘণ্টার পর ঘণ্টা নয়, দিনও পার হয়ে গেছে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে। ইচ্ছা থাকলেও অনেকে বাবা-মা থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনের চিকিৎসা করাতে পারেননি নদী পারাপারের বিড়ম্বনায়। অর্থনৈতিক ক্ষতিও কম হয়নি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পদ্ম সেতু শুধু একটি সেতু না এটি হচ্ছে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন করে চেনার পথ। দেশের সক্ষমতা জানান দেওয়ার আওয়াজ। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে তথা অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। কারণ ঢাকা বিভাগের জনগণই আগে দিনের মধ্যে রাজধানীর সুফল পেত না। খুলনা ও এর আশপাশের জেলায় রপ্তানিমুখী বড় শিল্পকারখানা নেই। যাতায়াত সহজ না হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও অনেক পিছিয়ে ছিল। কিন্তু পদ্মা সেতুর আশির্বাদে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা নয়, সারা দেশ এর সুফল পাবে। কৃষকের ফসল আর পচবে না। কৃষকের উৎপাদিত ফসলসহ মাছ, চাল, মৌসুমি ফল সহজেই রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় পৌঁছবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে নৌপথে ঢাকায় আসতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীতে পৌঁছে যাবে। কৃষক পণ্যের ন্যায্য দাম পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ মানুষ দিনের মধ্যেই কাজ শেষে বাড়িতে ফিরতে পারবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বন্দর, অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণও হবে। এ জন্য দক্ষিণাঞ্চলে ইতোমধ্যে জমির দাম অনেক দাম বেড়ে গেছে। দ্রুত শিল্পায়ন হবে। এভাবে বিভিন্নভাবে অবদান রাখবে পদ্মা সেতু। উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ২ শতাংশ অবদান রাখবে। সারা বাংলাদেশ হাতের তালুতে আসবে।’

ব্যবসা-বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে পদ্মা সেতু। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথ দেখাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের সুযোগ করছে। এই বাণিজ্য শুধু দেশে নয়, অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যুক্ত হওয়ার পথ দেখাচ্ছে। বাড়বে রপ্তানি। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। বেকারত্ব ঘুচবে কয়েকগুণ। শিল্প কারখানার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে কৃষি নির্ভর অর্থনীতিও।

অর্থনীতিবিদরা আগেই গবেষণা করে দেখেছেন পদ্মা সেতু চালু হলে ব্যাপকভাবে কর্মচাঞ্চল্য গড়ে উঠবে। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ২ শতাংশ অবদান রাখবে। পদ্মা নদীর কারণে বছরের পর বছর দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী বঞ্চিত ছিল সবরকম সুযোগ সুবিধা থেকে। সেটি এখন দূর হয়ে গেছে। একসময় যেমন উত্তরবঙ্গ বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণের পর উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবনযাত্রার মান যেমন বেড়েছে, আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে, ঠিক তেমনি শিল্পায়নে বিপ্লব ঘটেছে দেশের উত্তরজনপদে।

পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ার ফলে একই চিত্র দেখা যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেও। এই অঞ্চলে আগামী কয়েক বছরে শিল্পায়নে বিপ্লব ঘটবে। মানুষের কর্মযজ্ঞ বাড়বে। এক কথায় পদ্মার ওই পারের ২১ জেলার অর্থনীতি যেমন বদলে যাবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও বড় পরিবর্তন আসবে।

যশোরের বেনাপোল ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দেশের অর্নীতির চাকা সচল করতে কয়েকগুণ সক্রিয় হয়ে উঠবে। একইভাবে মোংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরও অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

আশা করা হচ্ছে, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিপণ্য সহজেই ঢাকায় পৌঁছবে। এতে করে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের সকল জেলায় কৃষিপণ্যের সরবরাহ বাড়বে। কৃষিপণ্যের দামও সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকবে। কৃষকরাও তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে। এতে করে অর্থনীতির চাকা দ্রুতগতিতে ঘুরবে।

পদ্মা সেতু শুধু দেশীয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বা দেশের অন্যান্য জেলার অর্থনীতে ভূমিকা রাখবে না, বৈদশিক মুদ্রা অর্জনেও বড় ভূমিকা রাখবে। এই সেতুর কারণে ভারতে, নেপাল, ভুটানসহ আশপাশের দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে বড় ভূমিকা রাখবে এমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। পদ্মা সেতুতে যখন রেল লাইন চালু হবে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সহজ হয়ে উঠবে তখন আরও বেশি সুবিধা পাওযা যাবে।

পদ্মা সেতুর স্বপ্নসারথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুকে ঘিরে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি জায়গা খোঁজা হচ্ছে।’

পদ্মা সেতুর ফলে বাংলাদেশের যে সামর্থ্য সেটা বিশ্বে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে। এই সেতু ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে মোটর পরিবহন কানেকটিভিতে আছে। এশিয়ান হাইওয়ে ও রেললাইন লিংকেও যুক্ত হবে। এর পরিচিতি কেবলমাত্র যে বাংলাদেশে থাকবে তা না, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক পর্যায়ে চলে যাবে। এর গুরুত্ব বিশ্বেও যাবে। পর্যটনেরও অপার সম্ভাবনা।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো পদ্মা সেতু যেমন রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব কমাবে, তেমনি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও রাখবে বড় ভূমিকা। এই সেতুর কারণে পদ্মার ওই পারের পর্যটন শিল্পেও বড় পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটকদের কাছে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন আর সাগরকন্যা কুয়াকাটা অন্যতম পর্যটন স্পট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বড় একটি পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে টুঙ্গিপাড়া। সেখানেও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলোর বাইরে আরও বহু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যেগুলো এখনও পর্যটকদের কাছে ওইভাবে প্রকাশ পায়নি। পদ্মা সেতুর কারণে অন্ধকারে থাকা পর্যটন স্পটগুলো আলোকিত হবে। গড়ে উঠবে কর্মসংস্থান। অর্থনৈতিক বাঁক বদলে রাখবে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা।

যাত্রাপথের বিড়ম্বনা দূর হওয়ায় এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী হবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। সহজেই যেতে পারবেন সুন্দরবন, কুয়াকাটা, বঙ্গবন্ধুর মাজার, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা কিংবা অন্যান্য জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে। অর্থনীতির পরিবর্তনে এসব পর্যটনস্পটগুলো হয়ে উঠবে বড় সম্ভাবনাময় খাত।

এনএইচবি/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সরকার পরিবর্তনের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হওয়া টানাপোড়েনের মাঝে নতুন করে আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গোপন গতিবিধি। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ক্ষমতাচ্যুত দলটির অনেক নেতাকর্মী সংগঠিতভাবে ঢাকামুখী হচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা রাজধানীতে অস্থিরতা তৈরি কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এই সম্ভাব্য ‘শক্তি প্রদর্শন’ ঘিরে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একাধিক রিপোর্টে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ বিষয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

বিশেষ করে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগপন্থি কিছু ব্যক্তির সরাসরি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর চট্টগ্রামে দলীয় আধিপত্য ও প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতির কারণে হামলা, দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েছে। একদিকে রাজনৈতিক শূন্যতা, অন্যদিকে পুলিশের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়ায় অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিএসবি) থেকে জেলার সব থানায় পাঠানো হয়েছে একটি বিশেষ চিঠি। সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকায় সম্ভাব্য আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে দলীয় কর্মীরা সংগঠিত হচ্ছে। ফলে ঢাকামুখী যাত্রা প্রতিহত করতে এবং কোনো ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে থানাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “সরকার পরিবর্তনের শুরুর সময়টায় কিছুটা ধাক্কা খেলেও এখন পুলিশের মনোবল আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।”

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম জানান, “নগরীর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুট ও নাইট পেট্রোল, নতুন চেকপোস্ট স্থাপন এবং ‘মিনি টিম’ গঠন করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।”

তবে চট্টগ্রাম জেলা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জুনায়েত কাউছার বলেন, “আমি নির্দিষ্ট কোনো চিঠির কথা জানি না। তবে যেকোনো হুমকি বা গুজব পেলেই আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুতি নিই, যাতে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে।”

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি

ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী এক র‌্যালি—‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’। স্কুটি, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে হাজারো রাইডার এই আয়োজনে অংশ নেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও ধানমন্ডি ৩২ হয়ে আবার সংসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

এই র‌্যালির অন্যতম উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ ভেসপা কমিউনিটির অ্যাডমিন দিদারুল ইসলাম সুজন জানান, "ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা জানাতেই এই রাইড। কোনো নির্দিষ্ট ব্যানারে নয়, দেশের বিভিন্ন টু-হুইলার ও ফোর-হুইলার গ্রুপ একত্র হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। পথে আরও অনেকে র‌্যালিতে যোগ দিয়েছেন।"

র‌্যালির শুরুতে নির্ধারিত চারটি সেগমেন্টে সাজানো হয় রাইডারদের—প্রথম সারিতে ছিল বাইসাইকেল, এরপর স্কুটার, তারপর মোটরবাইক, প্রাইভেট গাড়ি এবং সবশেষে আরও কিছু মোটরসাইকেল। গোটা র‌্যালিটি ধীরগতিতে, শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ শুধুই একটি প্রতিবাদ নয়, এটি মানবতার পক্ষে এক হওয়ার প্রতীক। জাতি, ধর্ম, পেশা নির্বিশেষে যারা সাইক্লিং বা গাড়ি চালান, তারা সবাই আজ এক প্ল্যাটফর্মে এসে মানবতার বার্তা দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা ৩ জন

উদ্ধারকৃত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং আটক তিন ছিনতাইকারী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে তিন ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গড়ের মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী দক্ষিণ স্ট্যান্ড থেকে দুই ব্যক্তি অটোভ্যানে যাত্রীবেশে মিঠাপুকুর যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নেন। অটোটি গড়ের মাথা এলাকায় পৌঁছালে তারা নেমে পড়েন এবং সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কভার্ডভ্যানের কাছে যান। এরপর কভার্ডভ্যান থেকে আরও তিনজন ব্যক্তি নেমে এসে অটোচালককে ভয়ভীতি দেখিয়ে অটোটি জোরপূর্বক ভ্যানে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

ঠিক তখনই ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য এএসআই আনোয়ার হোসেন বিষয়টি দেখে সন্দেহবশত এগিয়ে যান এবং তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে উপস্থিত জনতার সহায়তায় তাদের আটক করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আটককৃতরা হলেন- রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর মাষ্টারপাড়ার মৃত শাহাদৎ হোসেনের ছেলে মো. নুর ইসলাম (২৮), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এর মালিপাড়া গ্রামের মো. মাসুদ মিয়ার ছেলে মো. তানভির (২২) এবং পাবনার বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের মো. শারুখ খান (২৯)।

ভুক্তভোগী অটোচালকের নাম মো. শাহাবুল ইসলাম (২৫), পিতা: মো. সাখাওয়াত হোসেন, গ্রাম: বড় মির্জাপুর, মিঠাপুকুর, রংপুর।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, “অটোচালক শাহাবুল ইসলাম বাদী হয়ে ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ছিনতাই চক্রের বাকি সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি
মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা ৩ জন
দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের চার অঞ্চলে
কারাগারে মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ মিছিলে গিয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ নিহত ৬
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)