বেকারত্ব বিমা চালুর প্রস্তাব
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন অর্থবছরে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ বিশেষ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে চারটি জাতীয় সামাজিক বিমা স্কিম চালুর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনাভাইরাসের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। বাজেটে সঙ্গত কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে জাতীয় সামাজিক বিমা কর্মসূচি চালুর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স স্কিম বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এতে দেশে চার ধরনের সামাজিক বিমা ক্রমান্বয়ে চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- বেকারত্ব বিমা, ম্যাটারনিটি বিমা, অসুস্থতাজনিত বিমা এবং এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি বিমা। এর মধ্যে কর্মক্ষেত্রে আঘাতজনিত ক্ষতি থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমের একটি পাইলট প্রকল্প চালুর লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিমা সেবাকে জীবনমুখী ও আপদ মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচনে শস্য বিমা, গবাদিপশু বিমা, সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে, শস্য বিমা চালু ও এর ব্যাপক প্রসারের জন্য সরকার উৎসাহ প্রদান করছে। বিমার দাবি আদায় বিড়ম্বনা মুক্ত করার লক্ষ্যে বীমা খাতকে সম্পূর্ণ অটোমেশন করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিমার আওতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদারকরণ ও জাতীয় সঞ্চয়ে অবদান রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
এএজেড