মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারের চেয়ে বড় হাত আর কারও নেই। আমরা স্ট্রিক বলে দিয়েছি দাম বাড়ানো যাবে না। পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষে বুধবার (২ মার্চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

নিত্য পণ্যের মজুদ পরিস্থিতি সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, নিত্য পণ্যের যথেষ্ট মজুদ আছে। কোন সংকট নেই, সমস্যা নেই। রমজান পর্যন্ত চলবে। আগামী ৩১ মে'র পর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে না এবং ৩১ ডিসেম্বরের পর খোলা পাম অয়েল বিক্রি করা যাবে না।

টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে আমাদের ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন বসে একটা সূচকের ভিত্তিতে ঠিক করে যে বাজারে কি দাম হওয়া উচিত। আমাদের ল্যান্ডেড কস্ট কত, ইনফ্রাস্ট্রাকচার কত, প্রফিট কত হওয়া উচিত, বোতলের দাম কত এসব নিয়ে একটা দাম ফিক্সড করে দেয়। আমরা হিসাব করে দেখেছি যে সেখানে কিছু গড়মিল দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি, ভোক্তা অধিকার, ক্যাব, কম্প্রিটিটিভ কমিশন, গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন বিভাগকে ডেকেছি। তাদেরকে এই নির্দেশ দিয়েছি যে এবং প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে যে নির্দেশটা আমাকে জানানো হয়েছে সেটা হল যৌক্তিভাবে এটা কন্ট্রোল করতে হবে। যেটা আছে সেটা মেনটেইন করতে হবে। কোনভাবেই কোন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির প্র্যাকটিসকে একসেপ্ট করা যাবে না। যতদূর যাওয়া দরকার, যত শক্ত হওয়া দরকার তারা যেন সেই ব্যবস্থা নেন। ভোক্তা অধিকার এরমধ্যে শুরু করেছে। ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশ এবং বাজার মনিটরিং এ যারা রয়েছে সবার সঙ্গেই এ নিয় কথা হয়েছে। তারা সবাই জানেন কি দাম হওয়া উচিত। এখানে কোন কালো হাত যেন প্রভাব বিস্তার না করতে পারে।

তিনি বলেন, সামনে রমজান মাস। মানুষের প্রয়োজনটা বাড়বে। এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। টিসিবি তাদের যে ক্যাপাসিটি ছিল, অ্যাবিলিটি ছিল তার চার গুণ ক্ষমতা নিয়ে তারা বাজারে আসছে। রমজান মাস সামনে রেখে আগামী এক মাস বা দেড় মাসের মধ্যে এক কোটি মানুষকে টিসিবি তাদের পণ্য পৌঁছে দেবে। এই এক কোটি মানুষের কাছে যদি যাওয়া হয় তাহলে আমরা মনে করি অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ এর সুবিধাটা পাবে।

তিনি মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা মানুষকে সচেতন করার একটা বিশাল দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আপনারা যদি মানুষকে জানাতে পারেন যে, এই ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিয়েছে সরকার। এইটা ন্যায্য দাম। এর বেশি বিক্রয় হওয়া উচিত নয়।

লেভেল তুলে দিয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে, এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এই ধরণের কাজ যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেখানে যেভাবে দরকার অর্থাৎ যৌথ অভিযান প্রয়োজন হলে করা হবে। যদি পুলিশ পারে পুলিশ করবে। ডিসি করবে, ভোক্তা অধিকার করবে। সবার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে। আর কোথাও যদি মনে করা হয় সবাই একসঙ্গে অভিযানে যাওয়া দরকার তাহলে এক সঙ্গে যাবে।

খোলা তেলের দাম বেশি হওয়ায় অনেকে বোতল কেটে খোলা তেল বিক্রি করছে, এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ শুনার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশ, ভোক্তা অধিকার, ট্যারিফ কমিশন সবাইকে বলেছি, এই যে এসব কথা শুনছি এর বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান।

এসময় তিনি বলেন, সরকারের চেয়ে বড় হাত কারো নেই। আমরা সব রকমক সুবিধা দিতে চাই, বসতে চাই। কিন্তু তাই বলে এমন না যে তারা সুযোগ নেবে। মাঝখানে তারা এসেছিল ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য। আমরা পরিস্কার বলে দিয়েছি ‘ইমপসিবল’। কোথাও সুযোগ নিতে দেব না।

বাজারে খোলা ভোজ্য তেল বিক্রি করা যাবে না

বাজারে আর কোন খোলা তেল বিক্রি হবে না। এবিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা এ নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছি। আগামী ৩১ মে এবং ৩১ ডিসেম্বরের পর বাজারে আর কোন ভোজ্যতেল খোলা বিক্রি করা হবে না। সবই বোতলজাত বিক্রি হবে। এরমধ্যে ৩১ মে’র পর থেকে সয়াবিন তেল এবং ৩১ ডিসেম্বরের পর পাম অয়েল খোলা বিক্রি করা যাবে না। সবই বোতলজাত করে বিক্রি করতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যেল মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিটিশন কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান(সচিব) মো. আফজাল হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(আইআইটি) এ. এইচ.এম. সফিকুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ নেওয়াজ তালুকদার, এসবি’র ডিআইজি এ.জেড.এম. নাফিউল ইসলাম, ক্যাব প্রকাশিত ভোক্তা কন্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, শিল্প মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবি’র প্রতিনিধিরা

এনএইচবি/এএস

Header Ad

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে

ছবি: সংগৃহীত

ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বর্তমানে সিএমপি কোতয়ালি থানায় রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে তাকে।

এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

Header Ad

মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেশের বাজারে মুরগীর বাচ্চার অতিরিক্ত দাম স্থিতিশীল করে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এক গণ বিবৃতি দেয় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) এর সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দাম রেখে ক্রেতার পকেট থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদারের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। অথচ পরবর্তী সময়ে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৬০-১১০ টাকায় বিক্রি করছে।

তিনি দাবি মতে, প্রতিদিন সব জাতের মুরগির বাচ্চা ৩০ লাখ উৎপাদন করা হয়। যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত বর্তমানে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ (কাজী ফার্মস, নাহার অ্যাগ্রো, প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, সিপি বাংলাদেশ) আরও ১০-১২টি কর্পোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোল্ট্রি সেক্টরে
একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সুমন হাওলাদার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। যা প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বিক্রয় মূল্য অত্যন্ত কম থাকায় প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ সংকটের কারণে বহু প্রান্তিক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।

এ অবস্থায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিও জানানো হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে–

১. ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

২. কর্পোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিক ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. প্রান্তিক খামারিদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা এবং বিশেষ প্রণোদনা চালু করতে হবে।

৪. সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে ডিম, মুরগি এবং পোল্ট্রি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে আরও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

নতুন এই দাম আজ (২৬ নভেম্বর) থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাজুস। গতকাল (২৫ নভেম্বর) সোমবার রাতে সংগঠনটি এ তথ্য নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২৪ নভেম্বর থেকে। আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এছড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল।

আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এ ছাড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল। এছাড়া, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ