মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৫ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ‘সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প’

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। বড় কারখানা বলতে তেমন কিছুই নেই। ধান আর আম উৎপাদনে প্রসিদ্ধ এই জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করার ঘোষণা আসে ২০১৯ সালে। ঘোষণার পর প্রায় ৫ বছরেও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হইনি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দাবি অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়নের।

শিল্পের বহুমুখীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে দেশের সম্ভাবনাময় এলাকাগুলোতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নওগাঁর সাপাহার উপজেল খেড়ন্দা মৌজায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছরেও ওই এলাকায় কোনো জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এতে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আশায় থাকা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রতিষ্ঠা করে সরকার। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই ঘোষণার পর নওগাঁর সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে প্রস্তাব পাঠানো হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ‘সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়ে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্ব প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী।

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাপাহার উপজেলার সাপাহার-খঞ্জনপুর রাস্তার উত্তর পাশে খেড়ন্দা মৌজায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর বেজা ২৫৪ দশমিক ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠায়। যাচাই-বাছাই শেষে ওই মৌজার ২৫০ দশমিক ৬৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়ে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠায় বেজা। এর ১১ দিন পর আবারো ভূমি অধিগ্রহণে সম্ভাব্য ব্যয় জানতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয় বেজা। এরপর ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভূমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্য ব্যয় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে বেজাকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে এরপর থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, ‘২০২১ সালে বেজাকে আমরা সাপাহারের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। এরপর বেজা ওই চিঠির কোনো আপডেট আমাদের জানায়নি।’

আম বাগান। ড্রোন ভিউ-ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য সরকারি মালিকানাধীন ‘খাস’ জমিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু নওগাঁর সাপাহার উপজেলার যে এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, সেই জায়গার জমির একটি বড় অংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন। আর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণে সাধারণত তিনগুণ দাম দিতে হয়। এজন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কিছুটা দেরি হচ্ছে।

সাপাহার অর্থনেতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানতে চাইলে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘নওগাঁর সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার নীতিগত অনুমোদন হয়ে আছে। তবে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এখনই তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। কারণ সেখানে মাত্র ৬ থেকে ৭ একর জমি খাস। বাকি জায়গা ব্যক্তি-মালিকানাধীন। আর ব্যক্তি-মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হবে। আরও চিন্তাভাবনা করে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সার্কুলার আছে, ভূমি অধিগ্রহণ আপাতত করা যাবে না। আমরা এজন্য একটু পিছিয়েছি। তবে দীর্ঘমেয়াদে এগুলো আমাদের পরিকল্পনায় আছে। আমরা প্রতিটি জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করব।’

আম বাগান। ড্রোন ভিউ-ঢাকাপ্রকাশ

অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের নওগাঁর সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে, প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করেন নওগাঁর স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

তাঁরা বলেন, সাপাহার অঞ্চলের প্রধান অর্থকরি ফসল আম, ধান ও গম। এখন এই এলাকার কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি ঝুঁকেছেন আম চাষে। চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে এখন নওগাঁতে বাণিজ্যিকভাবে দেশের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয়। সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এর আশপাশের পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, মহাদেবপুর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান মিলবে অনেকের। নওগাঁয় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য স্থলবন্দর করার দাবিও জানাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

আম চাষিরা বলছেন, সংরক্ষণাগারের অভাবে ওই অঞ্চলে প্রতি বছর কোটি টাকার আম নষ্ট হয়ে যায়। উদ্যোক্তারা চান সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হলে সেখানে যেন আধুনিক ফল সংরক্ষণাগার ও আমের জুস তৈরির কারখানা করা হয়।

ঢাকায় সাংবাদিকতা ছেড়ে সাপাহারে সফল উদ্যোক্তা হয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন আমচাষি সোহেল রানা। তরুণ এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হাজার হাজার মণ আম নষ্ট হয়। সংরক্ষণাগারের অভাবে তীব্র গরমেও পেকে নষ্ট হয় আম। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভালো মানের জুসের কারখানা হলে এই অঞ্চলের চাষিরা ব্যাপক লাভবান হবেন।’

নওগাঁ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনও সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখল না। এটা খুবই হতাশার। প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার তাগাদা দিচ্ছি। আমাদের ভৌগোলিক অবস্থার কারণে ইকোনোমিক জোন ও স্থলবন্দর খুব জরুরি। এই দুটি হলে আমাদের অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ আছে। কৃষিপণ্য উৎপাদন ছাড়া বড় ধরণের কোনো শিল্পকারখানা নেই নওগাঁয়। নওগাঁয় ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করতে হলে এই প্রতিষ্ঠানের বিকল্প আপাতত নেই।’

Header Ad

মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে অন্ধকারে রেখে কিছু করলে মেনে নেয়া হবে না। আগেও মানুষ ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না। এ সরকারকে বলতে চাই, আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের ওপর বিশ্বাস হারায়।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি না, জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে সংবাদপত্রে এসেছে-কেউ বলছেন নির্বাচনের আগেই সংস্কার করা হবে। আবার আরেকজন বললেন যে, সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে। এই সংস্কার করতে আপনাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) কয়দিন লাগবে। আমরা তো সংস্কারের কোনো লাইন দেখতে পাচ্ছি না।

সরকারের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কোনো রকম ছলচাতুরি করার প্রয়োজন নেই। আপনারা কবে নির্বাচন দিতে চান, তা জাতিকে জানান। সংবিধান পুনঃলিখন করতে হলে আমাদের সাথে কথা বলে করতে হবে।

Header Ad

মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় আলেম ও তাবলীগ জামাতের স্বঘোষিত আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বাংলাদেশে আসার সুযোগ দেওয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে বলে সতর্ক করেছেন কওমি আলেম-ওলামারা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলনে বক্তারা এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সম্মেলনে পীর মধুপুর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করছে। তবে এই মহাসম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, যদি মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয়, তবে সরকারকেও পালাতে হবে।

হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, কওমি আলেমরা এ সরকারকে স্থাপন করেছে, আর কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী চোখ রাঙালে তা সহ্য করা হবে না। তাবলীগের নেতৃত্ব শুধুমাত্র আলেমদের হাতেই থাকবে, অন্য কারও হাতে নয়।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী অভিযোগ করেন যে, মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, কোনোভাবেই তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না।

মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী অভিযোগ করেন, মাওলানা সাদ কোরআন-হাদিসের বিরুদ্ধে কুফরি বক্তব্য দিয়েছেন এবং সারা বিশ্বে তাবলীগের মূলধারা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তিনি সাদের অনুসারীদের কাদিয়ানী বলে অভিহিত করে বাংলাদেশে তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানান।

নরসিংদীর জামিয়া কোরআনিয়া বৌয়াকুর মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা ইসমাইল নুরপুরী বলেন, সাদ অনুসারীদের বাতিল ও বিভ্রান্ত বলেই প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা চাই, মাওলানা সাদ বাংলার মাটিতে পা না রাখুন।"

জামেয়া হোসাইনিয়া মিরপুর মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া অভিযোগ করেন, মাওলানা সাদের বক্তব্য ইসলাম প্রচারকের যোগ্য নয়। তার সমালোচনামূলক মন্তব্য নবী ও সাহাবাদের প্রতি অশ্রদ্ধার পরিচায়ক।

সম্মেলনে কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধ ও কাকরাইল মসজিদসহ বিশ্ব ইজতেমা মাঠ বাতিলপন্থীদের জন্য ছেড়ে না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও নয় দফা দাবি পেশ করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, শাপলা চত্ত্বরের ঘটনার বিচার, কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আগমন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।

সম্মেলনে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন বক্তারা।

Header Ad

সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্মকর্তাদের যে কোনো অনুষ্ঠানে স্লোগান বা জয়ধ্বনি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি নয় দফা নির্দেশনা দেশের সব সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যে সকল দিবস বাতিল করা হয়েছে, সেই দিবসগুলো পালন না করার বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার আগে আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনের কারা আছেন, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানকে বিতর্কমুক্ত রাখতে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। যদি কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অতিথি হিসেবে থাকেন, তবে সেই অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র, ব্যানার, লিফলেট, পতাকা বা অন্যান্য ছাপানো উপকরণে কোনো বিতর্কিত স্লোগান বা লোগো ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করার জন্যও বলা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সম্প্রতি মাঠপর্যায়ের কিছু অফিসের কর্মকাণ্ড মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনা এড়াতে নয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো ধরনের স্লোগান বা জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকতে হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা