শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৫ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ‘সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প’

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। বড় কারখানা বলতে তেমন কিছুই নেই। ধান আর আম উৎপাদনে প্রসিদ্ধ এই জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করার ঘোষণা আসে ২০১৯ সালে। ঘোষণার পর প্রায় ৫ বছরেও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হইনি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দাবি অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়নের।

শিল্পের বহুমুখীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে দেশের সম্ভাবনাময় এলাকাগুলোতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নওগাঁর সাপাহার উপজেল খেড়ন্দা মৌজায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছরেও ওই এলাকায় কোনো জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এতে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আশায় থাকা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রতিষ্ঠা করে সরকার। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই ঘোষণার পর নওগাঁর সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে প্রস্তাব পাঠানো হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ‘সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়ে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্ব প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী।

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাপাহার উপজেলার সাপাহার-খঞ্জনপুর রাস্তার উত্তর পাশে খেড়ন্দা মৌজায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর বেজা ২৫৪ দশমিক ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠায়। যাচাই-বাছাই শেষে ওই মৌজার ২৫০ দশমিক ৬৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়ে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠায় বেজা। এর ১১ দিন পর আবারো ভূমি অধিগ্রহণে সম্ভাব্য ব্যয় জানতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয় বেজা। এরপর ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভূমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্য ব্যয় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে বেজাকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে এরপর থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, ‘২০২১ সালে বেজাকে আমরা সাপাহারের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। এরপর বেজা ওই চিঠির কোনো আপডেট আমাদের জানায়নি।’

আম বাগান। ড্রোন ভিউ-ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য সরকারি মালিকানাধীন ‘খাস’ জমিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু নওগাঁর সাপাহার উপজেলার যে এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, সেই জায়গার জমির একটি বড় অংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন। আর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণে সাধারণত তিনগুণ দাম দিতে হয়। এজন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কিছুটা দেরি হচ্ছে।

সাপাহার অর্থনেতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানতে চাইলে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘নওগাঁর সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার নীতিগত অনুমোদন হয়ে আছে। তবে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এখনই তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। কারণ সেখানে মাত্র ৬ থেকে ৭ একর জমি খাস। বাকি জায়গা ব্যক্তি-মালিকানাধীন। আর ব্যক্তি-মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হবে। আরও চিন্তাভাবনা করে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সার্কুলার আছে, ভূমি অধিগ্রহণ আপাতত করা যাবে না। আমরা এজন্য একটু পিছিয়েছি। তবে দীর্ঘমেয়াদে এগুলো আমাদের পরিকল্পনায় আছে। আমরা প্রতিটি জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করব।’

আম বাগান। ড্রোন ভিউ-ঢাকাপ্রকাশ

অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের নওগাঁর সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে, প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করেন নওগাঁর স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

তাঁরা বলেন, সাপাহার অঞ্চলের প্রধান অর্থকরি ফসল আম, ধান ও গম। এখন এই এলাকার কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি ঝুঁকেছেন আম চাষে। চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে এখন নওগাঁতে বাণিজ্যিকভাবে দেশের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয়। সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এর আশপাশের পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, মহাদেবপুর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান মিলবে অনেকের। নওগাঁয় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য স্থলবন্দর করার দাবিও জানাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

আম চাষিরা বলছেন, সংরক্ষণাগারের অভাবে ওই অঞ্চলে প্রতি বছর কোটি টাকার আম নষ্ট হয়ে যায়। উদ্যোক্তারা চান সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হলে সেখানে যেন আধুনিক ফল সংরক্ষণাগার ও আমের জুস তৈরির কারখানা করা হয়।

ঢাকায় সাংবাদিকতা ছেড়ে সাপাহারে সফল উদ্যোক্তা হয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন আমচাষি সোহেল রানা। তরুণ এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হাজার হাজার মণ আম নষ্ট হয়। সংরক্ষণাগারের অভাবে তীব্র গরমেও পেকে নষ্ট হয় আম। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভালো মানের জুসের কারখানা হলে এই অঞ্চলের চাষিরা ব্যাপক লাভবান হবেন।’

নওগাঁ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনও সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখল না। এটা খুবই হতাশার। প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার তাগাদা দিচ্ছি। আমাদের ভৌগোলিক অবস্থার কারণে ইকোনোমিক জোন ও স্থলবন্দর খুব জরুরি। এই দুটি হলে আমাদের অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ আছে। কৃষিপণ্য উৎপাদন ছাড়া বড় ধরণের কোনো শিল্পকারখানা নেই নওগাঁয়। নওগাঁয় ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করতে হলে এই প্রতিষ্ঠানের বিকল্প আপাতত নেই।’

Header Ad

আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেরে অবস্থান জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘বিচার নিশ্চিতের পূর্বে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া মানে চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা।’

এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ যেসব হত্যাকাণ্ড এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, সেগুলোর বিচার শেষে দলটিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা হত্যা ও ক্ষমতার অপব্যহারের সঙ্গে জড়িত, যখন তাদের বিচার সম্পন্ন হবে, তখনই দলটিকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে। অন্যরা নির্বাচনে অংশ নিতে যতটা স্বাধীন তারাও ততটাই স্বাধীন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গনে লড়াই করব।

Header Ad

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তারা। তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে আসা ৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ৭৬ জন লেবাননের বৈরতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেন। আর বাকি ছয়জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়। এ পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইটে ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক যাত্রীবাহী গাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছের কুররম অঞ্চলে এই হামলা ঘটে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলার স্থানটি আফগান সীমান্তের কাছাকাছি। জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ এখনো আততায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। কুররম জেলা সম্প্রতি শিয়া এবং সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রদায়গত সহিংসতার জন্য পরিচিত। তবে এই হামলার দায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখনও স্বীকার করেনি।

এই অঞ্চলে সম্প্রতি জমি নিয়ে বিতর্ক এবং সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে জমি নিয়ে বিতর্কে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছিল এবং এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এছাড়া, গত কয়েক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে পাকিস্তানজুড়ে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ সহিংসতার দায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সংগঠনটি স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে যে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অধীনে থাকা ‘অভয়াঞ্চল’ থেকে টিটিপি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ বালোচ বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, আফগান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আফগান তালেবান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তালেবান নেতারা দাবি করেছেন, তারা টিটিপি বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেন না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার জন্য কাউকে সুযোগও দেন না।

এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্রতার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান