বর্জ্যের ৬০ শতাংশ ভূমি খাল বিলে মিশে যাচ্ছে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ঢাকাতে বছরে ছয় হাজার টন কঠিন বর্জ্য উৎপাদন হয়। এর ৬০ শতাংশ বর্জ্য ভূমি, খাল বিলে মিশে যাচ্ছে। যা আইনে গ্রহণযোগ্য নয়। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমির অবস্থা: সমস্যা ও সামাধান’ শীর্ষক সেমিনার রোববার( ১৬ জানুয়ারি)মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশে ‘সার্কুলার ইকোনমি বা বৃত্তাকার অর্থনীতি’ বাস্তবায়ন হলে ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ সম্পদ আহরণের পরিমাণ হ্রাস পাবে। কাঁচামালের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত হবে। সম্পদের অপচয় কমবে, প্রক্রিয়া চলাকালীন উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস পাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে ব্যাপকভাবে শিল্পায়ন হচ্ছে। এরফলে বর্জ্যও বাড়ছে। ২০৩৫ সালে বর্জ্য হবে প্রায় ৪১ লাখ টন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। সিটি করপোরেশন এগিয়ে আসলে এর সুফল পাওয়া যাবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সুজাউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, আইসিসিসিএডির উপপরিচালক অধ্যাপক ড. মিজান আর খান, ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যান্ড ব্লু ইকোনমি গ্লোবাল প্রাকটিস এর সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ইয়ান জু আলিসন ই এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নির্বাহীরা।
জেডএ/