ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের টিভি চ্যানেল ১৪-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "সৌদি আরবের অনেক জায়গা রয়েছে, তারা চাইলে নিজেদের মাটিতেই একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে পারে।"
সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানালেও নেতানিয়াহু তা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, "ইসরায়েল বিপন্ন হতে পারে এমন কোনো চুক্তি আমি করবো না। বিশেষ করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তো নয়ই।"
তিনি আরও বলেন, "৭ অক্টোবরের পরও? এটি কী? একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছিল, সেটি গাজা, যেখানে হামাস নেতৃত্ব দিচ্ছিল। আর আমরা কী পেলাম? হলোকাস্টের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা।"
ইসরায়েলি পত্রিকা দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানায়, সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছে নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের সময়, যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এই বৈঠকে গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। নেতানিয়াহু এ বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, "আমি মনে করি, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি সম্ভব এবং এটি ঘটতে চলেছে।"
তবে ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বৈঠকের পরপরই সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, "ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা করবে না।"
ইসরায়েলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা দ্য জেরুজালেম পোস্ট-কে জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন এবং পশ্চিম তীর সংযুক্তির (অ্যানেক্সেশন) পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে পারেন। তাদের ধারণা, তিনি সৌদি আরবকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে সরানোর চেষ্টা করতে পারেন।