রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

উদ্যানজাত ফসলের ক্ষুদ্র আকারের প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে সেমিনার

ফল ও সবজির সংগ্রহ পরবর্তী অপচয় বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা

জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্প-২ এর অর্থায়নে ‘গ্রামীণ আয় সৃষ্টির জন্য উদ্যানজাত ফসলের ক্ষুদ্র আকারের প্রক্রিয়াকরণ’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ঢাকার হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) দিনব্যাপী এ কর্মশালায় সারাদেশের শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, কৃষি-উৎপাদনকারী ও প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, গবেষক, স্টেকহোল্ডারসহ প্রায় ১০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশে ফল ও সবজির বর্তমান ক্ষতির অবস্থা, আর্থিক মূল্য এবং পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরেন।

ড. চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর ফল ও সবজির সংগ্রহ পরবর্তী অপচয়ের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা এবং এই ক্ষতি ২০-৪৫% হয়ে থাকে। ফসলের এই ক্ষতি মূলত: পরিমাণগত এবং গুণগত হিসাবে হয়ে থাকে। ফসলের এই ব্যাপক ক্ষতি কমিয়ে কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ সময় বাড়াতে উন্নত ও উপযোগী প্রযুক্তি প্রয়োগ অপরিহার্য।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য মাত্র ১% প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। উদ্যানজাতীয় ফসলের প্রক্রিয়াজাতকরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিপণ্য খুবই পচনশীল কাজেই উপযুক্ত তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মোড়কজাত করা, ফ্রেশকাট হিসেবে বিপণনের ব্যবস্থা এবং খাদ্যদ্রব্য তৈরির মাধ্যমে মূল্য সংযোজন সময়ের দাবি। এতে সময়ের সাশ্রয় হবে এবং অতি সহজেই প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রান্না করা যাবে।
তিনি আম, কলা, কাঁঠাল ও আনারসসহ বিভিন্ন সতেজ সবজি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। কুটির শিল্পকে অর্থ, যন্ত্রপাতি, মোড়কজাত দ্রব্য, কাঁচামাল সহজলভ্য করতে অনুরোধ জানান। এতে বেকার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং কৃষিপণ্য বাণিজ্যিকীকরণে দ্রুত সম্প্রসারণ সম্ভব হবে; যা বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের নেয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার সাথে সম্পর্কিত। তিনি উল্লেখ করেন বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা, অর্থ সহায়তা, সহজেই প্রডাক্ট লাইসেন্সিং এর ব্যবস্থা নেয়া এবং বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাগণ বিশেষ করে কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিন অবহিত করেন যে, কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা বৃহৎ শিল্পের দ্বারা তৈরি পণ্য প্রস্তুত করার জন্য সেকেন্ডারি প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্প-২ এর কৃষি সম্প্রসারণ অংশের পরিচালক আজহারুল ইসলাম সিদ্দিক উল্লেখ করেন, যে ফল ও শাকসবজির মূল্য সংযোজন আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত স্টেকহোল্ডারদের জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের উপর দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করছে।

এসিআই মোটরস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, কৃষি পণ্য তৈরির জন্য কাঁচামাল অপরিহার্য এবং আমরা বিদেশ থেকে অনেক কাঁচামাল প্রতিবছরই আমদানি করি এবং এ খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু আমরা কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে কাঁচামাল প্রস্তুত করতে পারি এবং তারা বৃহৎ শিল্পে সরবরাহ করতে পারে যা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। এটা অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে নিঃসন্দেহে।

জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. মতিউর রহমান বলেন, অর্থ সাশ্রয়ের জন্য ফসলের ক্ষতি হ্রাস করা আমাদের দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে দেশের অনেক বেকার যুবক প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন ফল ও সবজিতে সহজেই মূল্য সংযোজনের সুযোগ রয়েছে। প্রকল্পটি স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রযুক্তি এবং যথাযথ পরিবেশবান্ধব মেশিন উদ্ভাবনকে বিকশিত করতে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার উল্লেখ করেন পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ স্টেকহোল্ডারদের জন্য মূল্য সংযোজন ও আয় বৃদ্ধির জন্য ২৭ ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। যা ইতিমধ্যে অনেকেই ব্যবহার করছে এবং ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই বিভাগটি বিভিন্ন প্রচারমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন এবং পণ্য বিপণনের জন্য উপযুক্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি প্রয়োগের জন্য সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানাবিধ কার্যক্রম সারাদেশে পরিচালনা করছে।

ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্য ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল বলেন, ফসল সংগ্রহের পর ক্ষতি কমাতে সারা বিশ্বে চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মূল্য সংযোজনের জন্য কৃষিপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের অর্থ সহায়তা প্রদান, যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন বিষয়ে প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি; যাতে তারা সঠিক সময়ে পণ্য বাজারজাত করতে সক্ষম হয়। তিনি প্রতিটি কৃষি প্রযুক্তির অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সচেতনতা বাড়াতে তথ্য প্রচার করতে হবে যাতে তারা ব্যয় সুবিধা উপলব্ধি করতে পারে যা কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে জড়িত হওয়ার জন্য উৎসাহ ও আস্থা বাড়াতে এবং শেষ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বাজারে টিকে থাকতে সহায়তা করবে। মান বজায় রাখার জন্য আর্ন্তজাতিক বাজারেও সহায়তা করতে পারবে।

কর্মশালার সভাপতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ও হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হান্নান বলেন, এই কর্মশালাটি কুটির শিল্পসহ যেকোনো উদ্যোক্তাকে বাছাই এবং গ্রহণে কৃষিকে সহায়তা করবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি পরিবারের আয় বাড়াবে এবং স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা সেই প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস করবে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মিতুল কুমার সাহা।

এপি/

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু