ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমল ১০ শতাংশ
ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান আছে। তা থেকে পরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল ও অন্যান্য পরিশোধিত পামওয়েলের আমদানি পর্যায়ে পাঁচ শতাংশের অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা কর) থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এই নির্দেশ ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে জারি করা হবে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমালে একটা প্রত্যক্ষ ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে সচিবালয়ে সোমবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভা সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন। তারপরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এসআরও জারি করে সমুদয় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ভ্যাট মওকুফ সংক্রান্ত আদেশে সই করার কথা জানান। আর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভোক্তা দিবস উপলক্ষে জানিয়েছেন, ভোজ্যতেলের উৎপাদন, আমদানি ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে, এটি ১০ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সেই তথ্য জানানো হয়েছে মঙ্গলবার।
অন্যদিকে, গত রোববার নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে ভ্যাট কমানোর কথা বলেছিলেন সভার সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
নিত্যপণ্যের মধ্যে ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে। গত এক বছরে এই তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৩৪ টাকা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে সর্বোচ্চ ১৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও গত ১ মার্চ থেকে দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়াতে বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো সরকারকে প্রস্তাব দেয়। তাদের যুক্তি, লিটারে দাম ১৬৮ টাকা নির্ধারণের সময় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে মূল্যে তেল আনতে হতো, এখন দাম তার চেয়ে আরও বেশি। কিন্তু রমজানের আগে কোনো দাম বাড়ানো হবে বলে জানানো হলে সয়াবিন তেল নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। যে যার মতো করে দাম আদায় করছে ভোক্তাদের কাছে।
জেডএ/ জেডএকে