রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ব্যাংকপাড়ায় ভুয়া ঋণের ফাঁদ

দেখতে লাখ টাকার বান্ডিল, আসলে সবই ভুয়া

চলাফেরায় আভিজাত্যের ছাপ। হটাৎ দেখে কেউ ব্যাংকের কর্মকর্তাও মনে করতে পারেন। রবি থেকে বৃহস্পতিবার মতিঝিল এলাকায় সরব উপস্থিতি। কখনো বড় হোটেলে আবার কখনো ফুটপাতে। সব জায়গায় সরব উপস্থিতি। আসলে তারা কারা? তারা কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তা বা কোনো স্থানে চাকরিও করে না। তারা ঋণ দেওয়ার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। শুধু কি প্রতারণা, ঋণগ্রহীতাকে নকল টাকা দিয়ে এমন কারসাজির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, তারা যেন কাউকে এ বিষয়ে না বলতে পারে।

এ রকম একটি সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতারণার অভিনব সব পন্থা শুনে গোয়েন্দারাও চমকে উঠেছেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ঋণগ্রহীতাদের এমনভাবেই তারা ফাঁদে ফেলে সেখান থেকে বের হতে পারে না। ঋণ গৃহীতাদের একভাবে আর্থিক ক্ষতির সন্মুখিন করে ফেলে। অন্যদিকে জাল টাকা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয় দেখায়। যার কারণে ভুক্তভোগীরা বড় আর্থিক ক্ষতি হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শরণাপন্ন হতে চায় না।

যেভাবে প্রতারণা করেন তারা

ব্যাংকপাড়া বলা হয় রাজধানীর মতিঝিল এলাকাকে। এখানেই বেশিরভাগ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চলাফেরা করেন। অনেকে আর্থিক সংকটের কারণে ঋণ নিতে এসব এলাকায় বেশি যাতায়াত করেন। অনেক সময় সঠিক কাগজপত্র দিয়ে ঋণ পেতে অনেকের দেরি হয়। বেশি দেরি হওয়ায় অনেকে বিরক্ত হয়ে ওই ঋণের দিকে আর এগোতে চান না। এরপর অবৈধ পথে এবং অল্প নিয়মনীতিতে ঋণ পেতে অনেকে বিভিন্ন চেষ্টা চালান। অল্প সময়ে ঋণ পাওয়া ও অতিরিক্ত টাকা ঋণের আশায় প্রতারণার খপ্পরে পড়ছেন অনেকেই।

মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় ঘুরে বেড়ান তারা। টার্গেট একমাত্র ঋণগ্রহীতা। তারা প্রতিশ্রুতি দেন অল্প সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ পাইয়ে দেবেন বলে। সে অনুযায়ী পেপারস নিজেরাই তৈরি করে দেওয়াসহ প্রাথমিকভাবে খরচের টাকা নেন। এরপর পেপারস তৈরি হলে সেই সময় আরেকটি টাকা নেয় ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে। শেষ সময় হিসেবে ঋণের একটি তারিখ দিয়ে সে অনুপাতে কমিশনের পরিপূর্ণ টাকা নিয়ে নেন। প্রতারকরা ঋণগৃহীতাকে চেক নয়, ক্যাশ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। ঋণ প্রদানের দিন টাকা নিয়ে তারা আবার নিজেরাই দেখা করেন গ্রাহকের সঙ্গে। ধরিয়ে দেন লাখ লাখ টাকার বান্ডিল। তবে বান্ডিল খোলার পর তাতে মেলে শুধু কাগজ। অভিনব এ প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

যা বলছে গোয়েন্দা পুলিশ

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, দেখতে লাখ টাকার বান্ডিল মনে হলেও তাতে কোনো টাকাই নেই। পুরোটাই কাগজের। ওপরে এবং নিচে এক হাজার টাকার নোট। তাও আবার জাল। এক শ্রেণির প্রতারক অভিনব কায়দায় কাগজকে টাকা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। তারা বলছেন, খালি চোখে দেখলে ১ হাজার টাকা নোটের বান্ডিলই মনে হবে। তবে ধারণা কেটে যাবে হাতে নিয়ে দেখলেই। ভেতরে কোনো টাকা নেই। টাকার মাপে কাগজ কেটে তৈরি করা হয়েছে বান্ডিলগুলো।

একটি দুটি নয়, ৩২টি বান্ডিল যেগুলো দৈর্ঘ্য প্রস্থে এক হাজার টাকা নোটের সমান। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে এই বান্ডিলগুলো। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে।

তবে এই চক্রের মাস্টারমাইন্ডসহ আরও কয়েকজনের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা যার কারণে তারা সংবাদমাধ্যমে এসব চক্রের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক রয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরও বলছেন, এ প্রতারকেরা মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় ঘুরতে থাকে। বেশ কয়েকজন আছে এই চক্রের সদস্য। কমিশনের বিনিমেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও সমিতি থেকে ঋণ পাওয়ার নিশ্চয়তা দেন তারা। কাগজপত্র এবং অগ্রিম কমিশনের টাকা নেওয়ার পর ঋণগ্রহীতাকে জানানো হয় ঋণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। নির্দিষ্ট দিনে লোনের টাকা নিয়ে তারা নিজেই হাজির হন। কাগজের এসব বান্ডিল বিশেষ প্যাকেটে মুড়িয়ে ধরিয়ে দেন ঋণগ্রহীতাকে। বাড়িতে গিয়ে প্যাকেট খোলার পরামর্শ দেন।

টাকা দ্বিগুণ করার ব্যবসাও করে চক্রটি

এদিকে পুলিশ বলছে, টাকা দ্বিগুণ করার ব্যবসাও করে চক্রটি। মূলত লোভ থেকেই মানুষ তাদের ফাদেঁ পা দেন। ভুক্তভোগী কয়েকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তারা লোনের জন্য মতিঝিল এলাকায় যাতায়াত করতেন। আর এ সময়ে পরিচয় ঘটে এ চক্রের সদস্যদের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রথম পর্যায়ে ভালোই মনে হয়েছিল। এরপর দেড়কোটি টাকা ঋণের প্রস্তাব করলে তারা রাজিও হয়। পরে কিছু ডকুমেন্ট তারা নেয়। এরপর তিন ধাপে ২২ লাখ টাকা নেয়। পরে লোনের প্রথম অংশ ৭৫ লাখ টাকা আছে বলে এটি ব্যাগ ধরিয়ে দেয়।

যা বলছেন ভুক্তভোগীরা

যেহেতু টাকার ব্যাগ। ভেতর থেকে একটা বান্ডিল দেখিয়ে তারা জানায়। রাস্তায় না খুলে বাসায় গিয়ে খুলতে। বাসায় নিয়ে আসার পর দেখা যায়, আসলে ব্যাগে কোনো টাকাই নেই। উপরে ১ হাজার টাকার একটি জাল নোট আর নিচের অংশে অপর একটি ১ হাজার টাকার জাল নোট। আর মাঝখানে সবগুলো কাগজ দিয়ে ভরা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এমন অবস্থায় নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল। মানুষ এমনভাবেও প্রতারণা করতে পারে কল্পনা করা যায়নি।

বাবলু নামের এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তিনি এক কোটি টাকার লোনের জন্য তাদের মোট ৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। তিনিও একইভাবে প্রতারণার শিকার হন।

তিনি আরও জানান, প্রতারিত হওয়ার পর তিনি শুনেছেন, মতিঝিল এলাকায় এলে এমন অনেক প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের প্রতারকদের কঠোর শাস্তিও দাবি করেন তিনি।

ব্যাংক কর্মকর্তার বক্তব্য

ব্যাংকের নাম বলতে অনিচ্ছুক ব্যাংক কর্মকর্তা নাজমুল আলম রানা জানান, দুই শ্রেণির ঋণগৃহীতা রয়েছে। যারা রানিং ব্যবসা করেন, তারা কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনেই ব্যাংক ঋণের আবেদন করেন। তাদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আরেক শ্রেণির ঋণগৃহীতা রয়েছে, যাদের পেপারসও ঠিকঠাক থাকে না, আবার ঋণ পরিশোধেরও চিন্তা থাকে না। অর্থাৎ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঋণ নিতে চায়। মূলত তারাই প্রতারিত হয়েছে বা হচ্ছে।

নাজমুল আলম আরও জানান, ব্যাংকের কাজই ঋণ দেওয়া। আর গ্রাহক তা নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করবেন। সুতরাং প্রকৃত ঋণগ্রাহক সরাসরি ব্যাংকে এলে কোনো ধরনের প্রতারণার সম্ভাবনা থাকে না। ব্যাংকে এলে তিনি ঋণগ্রহণের উপযুক্ত হলে ব্যাংক তাকে ফেরায় না।

চলছে অভিযান

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (রমনা) বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক জানিয়েছেন, এ প্রতারক চক্রটি প্রথমে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে কে ঋণ নিতে চায় এমন ব্যক্তি খুঁজে বের করে। পরে কী ধরনের ঋণ নিতে চায় সে বিষয়টি আগে তারা বোঝার চেষ্টা করে, তারপর তারা কৌশলে প্রতারণা করার পরিকল্পনা করে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এরা মূলত প্রতারক। এ চক্রটি প্রথমে সবার সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে। পরে কীভাবে লোন ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে তার ব্যবস্থা করার কথা বলে। মানুষ ও লোভে পড়ে একারণে তারা ও প্রতারণা হয়।

ডিবি পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, যে সব মানুষ যারা এভাবে লোন নিতে চায়, তারা মনে করেন কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই লোন পাওয়া যাচ্ছে এটাই ভালো পথ। এই সুযোগে এ প্রতারক চক্র লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নানান সময় টাকা নেয় তাদের কাছ থেকে। যখন টাকা দেওয়ার সময় আসে তখন তারা জনসমাগম আছে এমন জায়গা বেছে নেয়, তারপর এ জাল নোটের বান্ডিলগুলো তাদের হাতে তুলে দেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন

বিশ্লেষকরা বলছেন, যারা ঋণ নিতে চান তারা মূলত সেটি অল্প সময়ের মধ্যে পেতে চান। দেরি হওয়ায় তারা মনে করেন ব্যাংকের জটিলতা। এ কারণে তারা প্রতারকের সহযোগিতা নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। এজন্য অনেকে অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। তবে সামান্য একটু সতর্ক ও লোভ-লালসা রোধ করতে পারলে এসব প্রতারণা থেকে তারা বাঁচতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি অনেক মানুষ ঋণের খপ্পরে পড়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। বৈধ পথে লোন নেওয়ার কার্যক্রম চলমান রাখলে তারা এমন প্রতারণার শিকার হতো না। অতিরিক্ত লোভ লালসার কারণে সাধারণ মানুষ এসব প্রতারকের খপ্পরে পড়েছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ দেওয়ার নামে যারা মানুষের সর্বস্ব লুট করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত এবং এ চক্র বা প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দূরত্ব আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হয়তো এমন অপরাধ কমে আসবে। প্রতারকরা ভয়ে থাকবে, এ থেকে মানুষও মুক্তি পাবে।’

কেএম/এসএ/

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু