রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

টুরিস্ট ভিসা: রঙিন স্বপ্নে ভয়ংকর যাত্রা

টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে ভয়ংকর ফাঁদে পড়ছেন অনেকেই। রঙিন স্বপ্নের আশায় ভয়ঙ্কর হচ্ছে এ যাত্রা।

মাদারীপুরের টেকেরহাটের স্থানীয় এক কলেজের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র রাকিবুল ইসলাম। গ্রামের আশপাশের লোকজনের ইউরোপ যাওয়া দেখে রাকিবুলও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন ইউরোপ যাওয়ার। এক দালালের ১১ লাখ টাকার চুক্তিতে ইতালি যাওয়ার ব্যবস্থা হয়। প্রথমে দুবাই, এরপর লিবিয়া। আর লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি। ঝুঁকি থাকলেও ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর রাকিবুলও রাজি হয়ে যায়।

এরপর ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে দুবাই চলেও যান রাকিবুল। সেখান থেকে লিবিয়া। এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন দালালের প্রতারণায় পাচার হয়েছেন তিনি। দালালদের খপ্পরে পড়ে শুরু হয় দুর্বিসহ জীবন। কখনো জঙ্গল, কখনো মরুভূমি বা অন্ধকার কক্ষে দিন কাটতে থাকে তার। রাকিবুলকে বাঁচাতে পরিবার ওই ১১ লাখের পরে আরও ৪ লাখ টাকা দেয়। পরে লিবিয়া পুলিশের সহায়তা আটক হয়ে জেলখানায়।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) লিবিয়ার বন্দিশালা থেকে মুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা ও লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ১১৪ জন দেশে ফেরেন। সকাল সোয়া ৮টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে অবতরণ করে বোরাক এয়ারের ফ্লাইট। রাকিবুলের আপন চাচা আব্দুল আওয়াল বিমানবন্দরের বাইরে শোনান রাকিবুলের লিবিয়া যাত্রা গল্প।

একই এলাকার রাসেল। একইভাবে ফাঁদে পড়েন তিনিও। টুরিস্ট ভিসায় দুবাই এরপর লিবিয়া। আর সেখানেই আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হাতে পড়ে মুক্তিপণ দেন। পরে লিবিয়া পুলিশের হাতে পড়ে জেলে গিয়ে একই দলের সঙ্গে ফেরেন। বিমানবন্দরে দেখা করতে আসা নিকট আত্নীয় জানান, মোট ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। লিবিয়া যাওয়ার পরও দালালরা ধাপে ধাপে টাকা নিয়েছেন। জীবিত থাকবে এমন আশাতেই টাকা দিয়েছি আমরা।

আরেক ভুক্তভোগী সাগর মণ্ডলের আত্নীয় বিশ্ব মণ্ডল বলেন, ‘টুরিস্ট ভিসার আড়ালে যা হচ্ছে পরিষ্কার তা মানবপাচার। আর এ মানবপাচারে স্থানীয় দালাল, কতিপয় ট্রাভেল এজেন্সি ও ইমিগ্রেশন পুলিশও জড়িত।’

তিনি বলেন, যিনি কোনো দিন দেশের বাইরেই যাননি তিনি দুবাই যাচ্ছেন। দুবাই কার কাছে যাবে, কতদিন থাকবে, হোটেল বুকিং আছে কি না, রিটার্ন টিকিট নিয়েছে কি না। সব তদারকির দ্বায়িত্ব ইমিগ্রেশন পুলিশের। সন্দেহ হলেই তারা অফলোড করে দেবে। কিন্তু তারা সেটি না করে তাদের বের করে দিচ্ছে। এ অবস্থাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ কোনোভাবেই তাদের দ্বায় এড়াতে পারে না।

এদিকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক পলাশ বলেন, ২০২১ সালের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই, ওমান, মালয়েশিয়া যান তারা। সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় গেলে দালালরা ত্রিপোলিতে নিয়ে তাদের গেম ঘরে রাখে। পরে বিভিন্ন সময় লিবিয়ার পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা দালালদের ১১ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে দিয়েছিলেন অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশ যাওয়ার জন্য। ধরা পড়ার পর যাত্রীদের সবাই জেল খেটেছেন। পরে আইওএম আউট পাস নিয়ে তাদের উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। সবাইকে খাবার ও ৪ হাজার ৭৫০ টাকা অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ফেরত আসা সবাইকে সিআইডি দীর্ঘসময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পরে তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি ডোমেনিকান প্রজাতন্ত্র থেকেও ৩০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইউরোপ যাওয়ার এ প্রবণতা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে মন্তব্য করে পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (এআইজি) আলমগীর হোসেন শিমুল বলেন, এক শ্রেণির দালাল ও ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। তারা ইউরোপের স্বপ্ন দেখিয়ে তরুণদের প্রভাবিত করে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে কেউ কেউ মৃত্যুর মুখেও পতিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানে ইমিগ্রেশন পুলিশকও অনেক সময় দ্বায়ী। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইমিগ্রেশন পুলিশ যদি যেতে না দেয় তাহলে অভিযোগ করে, আবার যেতে দিলে বলে টাকা খায়। এ অবস্থায় তারাও দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে থাকে। এটি নিয়ে একদিকে সরকারকে কাজ করতে হবে অন্যদিকে এর কুফল নিয়ে গণমাধ্যমে বার বার সংবাদ প্রকাশ হলে জনগণের মধ্যে সচেতনতা আসবে।

এদিকে দুবাইয়ে গত কয়েক বছর থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় লোক নিয়ে যাচ্ছিলেন টাঙ্গাইলের নাঈম খান ওরফে লোটাস। এভাবে নাঈম ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে দুবাইয়ে পাচার করেছেন। সম্প্রতি জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড নকল করে আরও কিছু ব্যক্তিকে দুবাই পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কার্ড নকল করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে এ নকল কার্ড উদ্ধারের পর আসল ঘটনা বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

পরে র‌্যাব ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, বিএমইটির কার্ড নকল করে ভ্রমণ ভিসায় লোক পাঠানো হচ্ছে। এরপর শুরু হয় অভিযান। রাজধানীর তুরাগ, উত্তরা, রমনা, পল্টন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের মূল হোতা নাইম খান ওরফে লোটাসসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব-৩-এর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চক্রটির দুবাইয়ে কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকলেও উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে জনপ্রতি আড়াই থেকে ৩ লাখ করে টাকা নিয়ে নকল কার্ড দিয়ে অনেককে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। ইতোমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে পাঠানোর আয়োজনও সম্পন্ন করেছিল চক্রটি। কিন্তু আমাদের নজরে আসায় তা বন্ধ হয়ে গেছে।

চক্রটি গত কয়েক বছরে সাড়ে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে টুরিস্ট ভিসায় দুবাই পাচার করেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সেখানে গিয়ে বেকার ও মানবেতর জীবনযাপন করে পরে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, চক্রটির মূল হোতা লোটাস। লোটাস ২০১২ সালে দুবাই যান। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি মিললে তিনি টুরিস্ট ভিসায় বিভিন্ন জনকে নিয়ে যেতে থাকেন। সম্প্রতি ওয়ার্ক পারমিট কার্ড লাগে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লোটাস তার সদস্যদের দিয়ে ভুয়া বিএমইটির কার্ড বানিয়ে অনেককে পাচার করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে লোটাস র‌্যাবকে জানান, দুবাইয়ে ফারুক ও বাংলাদেশে নূরে আলম শাহরিয়ার তার অন্যতম সহযোগী। শাহরিয়ার মূলত প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তৈরি করতেন। শাহরিয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বসে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। অন্যদিকে মহসিন নামে একজনের কাছ থেকে খালি কার্ড কিনে আনে। প্রকৃত বিএমইটি কার্ড স্ক্যান করে তিনি নিজেই গ্রাফিক্স করেন। তারপর ভুক্তভোগীর পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কার্ডের পেছনে তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয় এবং বদরুলের নির্দেশ মতো রিক্রুটিং লাইসেন্সের নম্বর বসিয়ে দেওয়া হতো। এভাবে দুবাই পাচার করা হতো শত শত ব্যক্তিকে।

ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিআইজি মনিরুল ইসলাম জানান, টুরিস্ট ভিসায় দেশের বাইরে যাওয়ার পর ফিরে না এসে সেখানে অবৈধভাবে থেকে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। এক শ্রেণির ট্রাভেল এজেন্সির কারসাজিতে পড়ে একদিকে যেমন নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ পরিবার অন্যদিকে বিদেশে এভাবে গিয়ে তারা জেল হাজতে থাকছেন। দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করছে। অনেক সময় তারা মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়েছেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা বেড়ে যাওয়া ও অবৈধভাবে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশি ফেরত আসার ঘটনায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা বলেন, এটি মানবপাচারের সামিল এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে লোকজন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ কিছু বললেই তারা হয়রানির অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে ইমিগ্রেশন পুলিশ আরও কঠোর হবে। পাশাপাশি যেসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ আসবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এ পর্যন্ত র‌্যাব আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের বিদেশি নাগরিকসহ অসংখ্য মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। রাজধানীসহ বেশ কিছু এলাকায় মানব পাচারকারী চক্রের তথ্য পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলমান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য অনেক কিছু করছে। দেশে ভালো কিছু করতে না পেরে তারা টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু তারা ভাবছে না যে সমুদ্রপথে বা অন্যভাবে বিদেশে গেলে তিনি বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এসব কথা যদি তারা চিন্তা করতেন তাহলে তারা এমন ঝুঁকি নিতেন না। তবে যারা টুরিস্ট ভিসার ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন বা হেনস্তা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

কেএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু