শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টুরিস্ট ভিসা: রঙিন স্বপ্নে ভয়ংকর যাত্রা

টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে ভয়ংকর ফাঁদে পড়ছেন অনেকেই। রঙিন স্বপ্নের আশায় ভয়ঙ্কর হচ্ছে এ যাত্রা।

মাদারীপুরের টেকেরহাটের স্থানীয় এক কলেজের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র রাকিবুল ইসলাম। গ্রামের আশপাশের লোকজনের ইউরোপ যাওয়া দেখে রাকিবুলও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন ইউরোপ যাওয়ার। এক দালালের ১১ লাখ টাকার চুক্তিতে ইতালি যাওয়ার ব্যবস্থা হয়। প্রথমে দুবাই, এরপর লিবিয়া। আর লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি। ঝুঁকি থাকলেও ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর রাকিবুলও রাজি হয়ে যায়।

এরপর ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে দুবাই চলেও যান রাকিবুল। সেখান থেকে লিবিয়া। এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন দালালের প্রতারণায় পাচার হয়েছেন তিনি। দালালদের খপ্পরে পড়ে শুরু হয় দুর্বিসহ জীবন। কখনো জঙ্গল, কখনো মরুভূমি বা অন্ধকার কক্ষে দিন কাটতে থাকে তার। রাকিবুলকে বাঁচাতে পরিবার ওই ১১ লাখের পরে আরও ৪ লাখ টাকা দেয়। পরে লিবিয়া পুলিশের সহায়তা আটক হয়ে জেলখানায়।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) লিবিয়ার বন্দিশালা থেকে মুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা ও লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ১১৪ জন দেশে ফেরেন। সকাল সোয়া ৮টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে অবতরণ করে বোরাক এয়ারের ফ্লাইট। রাকিবুলের আপন চাচা আব্দুল আওয়াল বিমানবন্দরের বাইরে শোনান রাকিবুলের লিবিয়া যাত্রা গল্প।

একই এলাকার রাসেল। একইভাবে ফাঁদে পড়েন তিনিও। টুরিস্ট ভিসায় দুবাই এরপর লিবিয়া। আর সেখানেই আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হাতে পড়ে মুক্তিপণ দেন। পরে লিবিয়া পুলিশের হাতে পড়ে জেলে গিয়ে একই দলের সঙ্গে ফেরেন। বিমানবন্দরে দেখা করতে আসা নিকট আত্নীয় জানান, মোট ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। লিবিয়া যাওয়ার পরও দালালরা ধাপে ধাপে টাকা নিয়েছেন। জীবিত থাকবে এমন আশাতেই টাকা দিয়েছি আমরা।

আরেক ভুক্তভোগী সাগর মণ্ডলের আত্নীয় বিশ্ব মণ্ডল বলেন, ‘টুরিস্ট ভিসার আড়ালে যা হচ্ছে পরিষ্কার তা মানবপাচার। আর এ মানবপাচারে স্থানীয় দালাল, কতিপয় ট্রাভেল এজেন্সি ও ইমিগ্রেশন পুলিশও জড়িত।’

তিনি বলেন, যিনি কোনো দিন দেশের বাইরেই যাননি তিনি দুবাই যাচ্ছেন। দুবাই কার কাছে যাবে, কতদিন থাকবে, হোটেল বুকিং আছে কি না, রিটার্ন টিকিট নিয়েছে কি না। সব তদারকির দ্বায়িত্ব ইমিগ্রেশন পুলিশের। সন্দেহ হলেই তারা অফলোড করে দেবে। কিন্তু তারা সেটি না করে তাদের বের করে দিচ্ছে। এ অবস্থাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ কোনোভাবেই তাদের দ্বায় এড়াতে পারে না।

এদিকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক পলাশ বলেন, ২০২১ সালের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই, ওমান, মালয়েশিয়া যান তারা। সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় গেলে দালালরা ত্রিপোলিতে নিয়ে তাদের গেম ঘরে রাখে। পরে বিভিন্ন সময় লিবিয়ার পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা দালালদের ১১ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে দিয়েছিলেন অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশ যাওয়ার জন্য। ধরা পড়ার পর যাত্রীদের সবাই জেল খেটেছেন। পরে আইওএম আউট পাস নিয়ে তাদের উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। সবাইকে খাবার ও ৪ হাজার ৭৫০ টাকা অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ফেরত আসা সবাইকে সিআইডি দীর্ঘসময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পরে তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি ডোমেনিকান প্রজাতন্ত্র থেকেও ৩০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইউরোপ যাওয়ার এ প্রবণতা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে মন্তব্য করে পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (এআইজি) আলমগীর হোসেন শিমুল বলেন, এক শ্রেণির দালাল ও ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। তারা ইউরোপের স্বপ্ন দেখিয়ে তরুণদের প্রভাবিত করে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে কেউ কেউ মৃত্যুর মুখেও পতিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানে ইমিগ্রেশন পুলিশকও অনেক সময় দ্বায়ী। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইমিগ্রেশন পুলিশ যদি যেতে না দেয় তাহলে অভিযোগ করে, আবার যেতে দিলে বলে টাকা খায়। এ অবস্থায় তারাও দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে থাকে। এটি নিয়ে একদিকে সরকারকে কাজ করতে হবে অন্যদিকে এর কুফল নিয়ে গণমাধ্যমে বার বার সংবাদ প্রকাশ হলে জনগণের মধ্যে সচেতনতা আসবে।

এদিকে দুবাইয়ে গত কয়েক বছর থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় লোক নিয়ে যাচ্ছিলেন টাঙ্গাইলের নাঈম খান ওরফে লোটাস। এভাবে নাঈম ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে দুবাইয়ে পাচার করেছেন। সম্প্রতি জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড নকল করে আরও কিছু ব্যক্তিকে দুবাই পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কার্ড নকল করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে এ নকল কার্ড উদ্ধারের পর আসল ঘটনা বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

পরে র‌্যাব ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, বিএমইটির কার্ড নকল করে ভ্রমণ ভিসায় লোক পাঠানো হচ্ছে। এরপর শুরু হয় অভিযান। রাজধানীর তুরাগ, উত্তরা, রমনা, পল্টন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের মূল হোতা নাইম খান ওরফে লোটাসসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব-৩-এর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চক্রটির দুবাইয়ে কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকলেও উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে জনপ্রতি আড়াই থেকে ৩ লাখ করে টাকা নিয়ে নকল কার্ড দিয়ে অনেককে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। ইতোমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে পাঠানোর আয়োজনও সম্পন্ন করেছিল চক্রটি। কিন্তু আমাদের নজরে আসায় তা বন্ধ হয়ে গেছে।

চক্রটি গত কয়েক বছরে সাড়ে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে টুরিস্ট ভিসায় দুবাই পাচার করেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সেখানে গিয়ে বেকার ও মানবেতর জীবনযাপন করে পরে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, চক্রটির মূল হোতা লোটাস। লোটাস ২০১২ সালে দুবাই যান। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি মিললে তিনি টুরিস্ট ভিসায় বিভিন্ন জনকে নিয়ে যেতে থাকেন। সম্প্রতি ওয়ার্ক পারমিট কার্ড লাগে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লোটাস তার সদস্যদের দিয়ে ভুয়া বিএমইটির কার্ড বানিয়ে অনেককে পাচার করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে লোটাস র‌্যাবকে জানান, দুবাইয়ে ফারুক ও বাংলাদেশে নূরে আলম শাহরিয়ার তার অন্যতম সহযোগী। শাহরিয়ার মূলত প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তৈরি করতেন। শাহরিয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বসে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। অন্যদিকে মহসিন নামে একজনের কাছ থেকে খালি কার্ড কিনে আনে। প্রকৃত বিএমইটি কার্ড স্ক্যান করে তিনি নিজেই গ্রাফিক্স করেন। তারপর ভুক্তভোগীর পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কার্ডের পেছনে তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয় এবং বদরুলের নির্দেশ মতো রিক্রুটিং লাইসেন্সের নম্বর বসিয়ে দেওয়া হতো। এভাবে দুবাই পাচার করা হতো শত শত ব্যক্তিকে।

ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিআইজি মনিরুল ইসলাম জানান, টুরিস্ট ভিসায় দেশের বাইরে যাওয়ার পর ফিরে না এসে সেখানে অবৈধভাবে থেকে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। এক শ্রেণির ট্রাভেল এজেন্সির কারসাজিতে পড়ে একদিকে যেমন নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ পরিবার অন্যদিকে বিদেশে এভাবে গিয়ে তারা জেল হাজতে থাকছেন। দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করছে। অনেক সময় তারা মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়েছেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা বেড়ে যাওয়া ও অবৈধভাবে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশি ফেরত আসার ঘটনায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা বলেন, এটি মানবপাচারের সামিল এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে লোকজন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ কিছু বললেই তারা হয়রানির অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে ইমিগ্রেশন পুলিশ আরও কঠোর হবে। পাশাপাশি যেসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ আসবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এ পর্যন্ত র‌্যাব আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের বিদেশি নাগরিকসহ অসংখ্য মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। রাজধানীসহ বেশ কিছু এলাকায় মানব পাচারকারী চক্রের তথ্য পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলমান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য অনেক কিছু করছে। দেশে ভালো কিছু করতে না পেরে তারা টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু তারা ভাবছে না যে সমুদ্রপথে বা অন্যভাবে বিদেশে গেলে তিনি বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এসব কথা যদি তারা চিন্তা করতেন তাহলে তারা এমন ঝুঁকি নিতেন না। তবে যারা টুরিস্ট ভিসার ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন বা হেনস্তা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

কেএম/এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত