জাহানারা হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার: পিবিআই
জাহানারা বেগম হত্যা মামলার ঘটনায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর পিবিআই। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ধানক্ষেতের মধ্যে থেকে জাহানারা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আলতাফ হোসেন বাবু (৪৫) ও মো. মনিরুল ইসলাম(৩০), মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে লাল্টু শেখ (৩২)।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পিবিআই যশোর জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আলাউদ্দিন (২৮) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন পিবিআই'র তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় যশোর পিবিআই'র একটি অভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
যশোর পিবিআই জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিযুক্ত লাল্টুর সাথে মৃত জাহানারা বেগমের পূর্ব পরিচয় ছিলো। সে গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাহানারা বেগমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে মনিরামপুর থানাধীন রাজগঞ্জ মোড়ে আসে। এরপর সেখান থেকে লাল্টু ও মনিরুল ইসলাম জাহানারা বেগমকে কৌশলে অনৈতিক উদ্দেশ্যে সুন্দলপুর বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বে উপস্থিত থাকা অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন বাবুর মাধ্যমে জাহানারা বেগমকে ধলিগাতি গ্রামের ধান ক্ষেতের মাঠে থাকা ডিপ টিউবয়েলের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, অভিযুক্তরা জাহানারা বেগমের সাথে দৈহিক মিলামেশা করে। একপর্যায়ে রাত বেশি হলে, স্থানীয় লোকজন সেখানে জাহানারা বেগমের সাথে অভিযুক্তদের অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেললে গ্রেপ্তারকৃতরা ও জাহানারা বেগম দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর ডিপ টিউবয়েল ঘর থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দুরে রহস্যময় ভাবে জাহানারা বেগমের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তারা খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কেএম/এএস