বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ
৬ আসামিই পেশাদার অপরাধী: র্যাব
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয়জন আসামিই পেশাদার অপরাধী বলে জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) র্যাব মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- রাকিব মিয়া ইমন, পিয়াস ফকির, প্রদীপ বিশ্বাস, মো. নাহিদ রায়হান, ও মো. হেলাল। এ ছাড়া তূর্য মোহন্তকে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় রাকিবের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি অপরাধ চক্রের সদস্য তারা। তারা সবাই গোপালগঞ্জ ও তার আশপাশের এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। গ্রেপ্তার তূর্য মোহন্ত ছাড়া বাকিরা প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর ধরে নবীনবাগ এলাকায় বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন, আড্ডা, জুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এ ছাড়া তারা চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও রয়েছে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার রাকিব মিয়া ইমন স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করেন। তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে রিসিপশনিস্ট হিসেবে চাকরি করতেন। তার বিরুদ্ধে মাদক ও মারামারির মামলা রয়েছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার পিয়াস ফকির গোপালঞ্জের একটি পাওয়ার হাউজে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। প্রদীপ বিশ্বাস স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। তিনি গোপালগঞ্জে হোম সার্ভিসের মাধ্যমে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ করেন। নাহিদ রায়হান ও মো. হেলাল স্থানীয় একটি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। পাশাপাশি একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার হিসেবে চাকরি করেন হেলালা। আর তূর্য মোহন্ত খুলনার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছে। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখার জন্য বিদেশে যান। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শেষ বর্ষে পড়ার সময় করোনা মহামারির কারণে দেশে আসেন। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ সদরে গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তূর্যের বিরুদ্ধে একটি মারামারির মামলা রয়েছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে মেসে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং তার বন্ধুকে মারধর করেন।
কেএম/এসএন