বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারি বাসাভাড়া ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেননি বিচারপতি মানিক

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকাকালে রাজধানীর গুলশানে একটি সরকারি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অবসরে যাওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় তিনি ওই বাড়িটি দখলে রেখেছিলেন।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাড়িটি ছাড়ার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়ার পর ২০১৭ সালের মে মাসে শামসুদ্দিন চৌধুরী বাড়িটি ছাড়েন। তবে বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল বাবদ সরকারের পাওনা ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা তিনি এখনও পরিশোধ করেননি।

এ বিষয়ে শামসুদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কল কেটে দেন।

জানা গেছে, শামসুদ্দিন চৌধুরী বিচারপতি হিসেবে ঢাকার গুলশানে ৩৫ নম্বর সড়কে সরকারি একটি বাড়ি বরাদ্দ পেয়ে সেখানে ওঠেন ২০১২ সালের নভেম্বরে। তিনি অবসরে যান ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর। অবসরের পর বাড়িটিতে আরও দুই বছর থাকবেন বলে জানিয়ে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরকে চিঠি দেন শামসুদ্দিন চৌধুরী। আবাসন পরিদপ্তর সূত্র জানায়, তাঁকে ছয় মাস থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই হিসাবে বিচারপতি মানিকের বাড়ি ছাড়ার কথা ২০১৬ সালের এপ্রিলে। কিন্তু ওই সময়ে তিনি বাড়ি ছাড়েননি। ছাড়েন ২০১৭ সালের মে মাসে।

সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, শামসুদ্দিন চৌধুরী তাঁকে দেওয়া সময়ের চেয়ে যত দিন বেশি ওই বাড়িতে ছিলেন, সেই সময়ের বাড়িভাড়া, পানি বিল ও গ্যাস বিল বাবদ সরকারের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ টাকা।

অবসরে যাওয়ার পর সরকারি বাড়ি ছাড়তে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছিল সরকারি আবাসন পরিদপ্তর। নথিপত্র বলছে, চিঠির জবাবে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিরা ১২ মাস বিনা ভাড়ায় সরকারি বাসায় বসবাস করতে পারেন। এর জবাবে আবাসন পরিদপ্তর থেকে জানানো হয়, বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পর এক বছর বিনা ভাড়ায় থাকতে পারার সরকারি কোনো আদেশ, নির্দেশ বা পরিপত্র নেই।

Header Ad

ইনিয়েস্তার অবসর নিয়ে কিংবদন্তিদের আবেগঘন বার্তা

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

অবশেষে ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন বার্সেলোনা ও স্পেনের তারকা ফুটবলার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। এতে অবসান ঘটলো ২২ বছরের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের। স্পেনের জার্সিতে বিশ্বকাপ ও ইউরোজয়ী এ মিডফিল্ডার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস ক্লাবেই ক্যারিয়ার শেষ করলেন তিনি।

জাতীয় দল ও কাতালান ডেরা ছেড়ে মাঝে অখ্যাত কিছু ক্লাবে খেললেও নিজেদের অবসরের ঘোষণাটা দিলেন ক্যাম্প ন্যুতে ফিরে। কারণ এখানকার লা মাসিয়া থেকেই যে ইনিয়েস্তার বেড়ে ওঠা। তার অবসরে এক সময়ের সতীর্থ লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র থেকে শুরু করে ফুটবলের রথি-মহারথিরাও শুভকামনা জানিয়েছেন।

মাত্র ১২ বছর বয়সে লা মাসিয়ায় ইনিয়েস্তার প্রথম যাত্রা। এরপর বার্সেলোনাতে খেলেছেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। নিজের শৈশব–কৈশোর ও সবচেয়ে সুখের সময়টা যেখানে কাটিয়েছেন সেই ক্লাব ছেড়ে ছেড়ে যোগ দেন জাপানের ভিসেল কোবেতে। ক্লাবটিতে পাঁচ বছর কাটিয়ে গত মৌসুম সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব এমিরেটসে খেলেছেন। এরপর গত সোমবার সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় স্পেনের ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার অবসরের ঘোষণা দেন ৪০ বছর বয়সে।

লম্বা সময় একসঙ্গে থাকার পর ২০১৮ সালে ক্লাব ছাড়েন ইনিয়েস্তা। তবে স্মৃতি তো রয়েই যায়। যেটি এখন পর্যন্ত ভুলতে পারেননি মেসি। তাইতো জানিয়েছেন মিস করার কথা। ইনস্টাগ্রামে ইনিয়েস্তার সঙ্গে নিজের ছবি সংযুক্ত এক স্টোরিতে মেসি লিখেন, ‘সবচেয়ে জাদুকরী সতীর্থদের একজন যার সঙ্গে খেলতে আমি অনেক আনন্দ পেয়েছি। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, বল তোমাকে মিস করবে এবং আমরাও।’

জাপানের ক্লাব ভিসেল কোবে ছেড়ে গত বছরের অগাস্টে এক বছরের চুক্তিতে এমিরেটসে যোগ দিয়েছিলেন ইনিয়েস্তা। ২০২৫ সাল পর্যন্ত দলটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ ছিল তার। তবে ক্যারিয়ার আর দীর্ঘায়িত করলেন না। বিদায় নিয়েছেন গতকালই।

Header Ad

রেনু হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

আদালত চত্বরে আসামিরা (ইনসেটে নিহত রেনু)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা জরিমা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা। আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।

অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ৯ অক্টোবর রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫শ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন।

২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হয়। অপরদিকে দুই শিশুর মামলা ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন।

Header Ad

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত ২৩ জন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

এ সময় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের অন্য বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূইয়া।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নতুন এই ২৩ বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মুখপাত্র (স্পেশাল অফিসার) মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২৩ জন হলেন—মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।

সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ দেবেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইনিয়েস্তার অবসর নিয়ে কিংবদন্তিদের আবেগঘন বার্তা
রেনু হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি
অনুশোচনায় ভুগছেন পরীমণি
ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর, থানায় মামলা
এনআইডির তথ্য ফাঁস: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু
হাইকোর্ট বিভাগে নতুন ২৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান গ্রেপ্তার
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন অক্টোবরেই চালু হচ্ছে
আ. লীগের ‘নিরীহ’ নেতাকর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়: রিজভী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরই মুক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী
পনের বছরের ঝঞ্ঝাট একদিনে পরিষ্কার হবে না: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা, খামারিসহ তিন আড়তদারকে জরিমানা
পদত্যাগ করলেন পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১৩ সদস্য