শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | ২ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি হাতিয়ে নিতো চক্রটি

আটককৃত দালালচক্রের সক্রিয় ৩ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দিনমজুর মানুষদের টার্গেট করে তাদেরকে প্রলুব্ধ করে কিডনি বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কিডনি কালোবাজারি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও আতাউর হোসেন বাপ্পী (২৮)। শনিবার (১১ মে) রাজধানী ধানমন্ডি ২/এ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫), সাগর ওরফে মোস্তফা (৩৭) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

এই দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে কিডনি হারানো ভিকটিম রবিনের মামলার বরাত দিয়ে ডিএমপি জানায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের মিরপুর-১০ নং শাহ আলী মার্কেটের পিছনে চায়ের দোকানে রবিন তার এক বন্ধুর সাথে চা খাচ্ছিল এবং সংসারের অভাব অনটন নিয়ে কথাবার্তা বলছিল। ওই কথাবার্তা চলাকালীন পাশে বসা অভিযুক্ত ১নং পলাতক আসামী মাছুমও চা পান করছিল। এসব কথাবার্তা শুনে মাছুম নিজ থেকেই ভিকটিমকে বলে যে, ভারতে তার ব্যবসা আছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দিতে পারবে। একপর্যায়ে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয় এবং পরবর্তীতে ১নং পলাতক আসামীর সাথে প্রায় ১৫/২০ দিন মোবাইলে কথা হয়। অভিযুক্ত ১নং পলাকত আসামী ভিকটিমকে ভারত নিয়ে যাবে এবং সকল কার্যক্রম করবে মর্মে প্রস্তাব দেন, যাতে ভিকটিম রাজি হয়।

পরবর্তীতে ১নং পলাতক আসামী ভিকটিমকে পাসপোর্ট করে দিতে সহায়তা করে বলে যে, ভারতে তার প্রতিষ্ঠানে চাকুরির জন্য যেতে হলে ডাক্তারি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। সে অনুযায়ী গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ধানমন্ডি মডেল থানাধীন ৪নং রোডস্থ ল্যাব এইড হাসপাতালে ভিকটিমকে নিয়ে যায় এবং সেখানে অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রাজু হাওলাদার (৩২) এর সাথে পরিচয় হয়। অভিযুক্ত আসামী ও ১নং পলাতক আসামীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করে ভারতের ভিসা করানোর জন্য ভিকটিমের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে নেয়। ভিসার সব কার্যক্রম শেষ করে অভিযুক্ত ১নং আসামী ও ১নং পলাতক আসামী ভিকটিমের সাথে গ্রেফতারকৃত ২নং আসামী শাহেদ উদ্দিন (২২) এবং ৩নং আসামী মোঃ আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮) দ্বয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলে যে, তারা একে অপরের ব্যবসায়িক পার্টনার, বাংলাদেশ ও ভারতে তারা যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে। আসামীরা অনলাইনে বিমানের টিকেট ক্রয়পূর্বক ভিকটিমের হোয়াটস্ এ্যাপ এ প্রেরণ করে।

ওই টিকিট নিয়ে ভিকটিম গত ২২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ইনডিগো এয়ারলাইনস এর বিমানে করে ভারতের নয়া দিল্লিতে পৌঁছায়। সেখানে অভিযুক্ত ২নং ও ৩নং পলাতক আসামীরা ভিকটিমের ছবির প্রিন্ট কপি নিয়ে ভিকটিমকে রিসিভ করার জন্য অপেক্ষারত ছিল। ভিকটিমকে রিসিভ করেই অভিযুক্ত ২নং ও ৩নং পলাতক আসামীরা পাসপোর্ট কেড়ে নেয় এবং ভাড়াকৃত একটি প্রাইভেট কারযোগে প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের দূরত্বে ভারতের ফরিদাবাদ এলাকায় ৫৬৪ নম্বর বাসায় (২ তলা বিশিষ্ট বাসা) নিয়ে যায়।

এভাবে ভারতের ফরিদাবাদ এলাকার ওই ৫৬৪ নম্বর বাসায় ভিকটিমকে ২নং ও ৩নং পলাতক আসামীরা প্রায় ২০/২৫ দিন আটকে রাখে। আটক রাখাকালীন অভিযুক্ত ৩নং আসামী মোঃ মাছুম বাংলাদেশ থেকে সেখানে যায়। মাছুমকে পেয়ে ভিকটিম তার চাকুরির কথা জিজ্ঞাসা করলে সে বিভিন্ন রকম তালবাহানামূলক কথাবার্তা বলে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

অভিযুক্ত ৩নং আসামী ভিকটিমকে তার আর্থিক অনটন, সাংসারিক অর্থনৈতিক দূরবস্থার সুযোগ নিয়ে একটি কিডনি প্রদানের জন্য প্ররোচিত করে এবং ভয়ভীতি দেখায় যে, পাসপোর্ট ছাড়া সে দেশেও ফিরে আসতে পারবে না। একপর্যায়ে আসামীরা ভিকটিমকে নয়া দিল্লির এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা করায়। ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কিছুদিন পর ভারতের গুজরাটে নিয়ে যায় এবং মুক্তিনগর এলাকায় ২ তলা বিশিষ্ট একটি বাসায় রাখে।

রবিনের এজাহার অনুযায়ী, দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে কাউকে কিছু না বলার শর্তে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ও সুকৌশলে চলতি বছরের ৪ মার্চ ভারতের গুজরাট কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালে নাভীর নিচে তলপেট বরাবর অপারেশনের মাধ্যমে ১ টি কিডনি প্রদানে বাধ্য করে এবং ফুসলিয়ে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেয়। অপারেশন শেষে ওই হাসপাতাল থেকে ৪ দিন পরে ছাড়পত্র প্রদান করে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আসামীদের দালাল চক্র ভারতের অজ্ঞাত স্থানে প্রায় ১০/১১ দিন ভিকটিমকে আটক রাখে।

উল্লেখ্য, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন মাধ্যমে ভিকটিম জানতে পারে যে, ওই কিডনি আসামীরা দালাল চক্রের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে। বিভিন্ন সময়ে ভারতে থাকাকালীন অবস্থায় আসামীরা ভিকটিমকে বলে যে, তাকে ভারতে মেরে ফেললে কী হবে? এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে দালালচক্র ভিকটিমকে কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলে। বাংলাদেশে অবস্থানকৃত চক্রের অন্য সদস্যরা ভিকটিমের স্ত্রী ইশরাত জাহানের বিকাশ নম্বর বিভিন্ন সময়ে মোট ৩ লাখ টাকা প্রদান করে এবং পরবর্তীতে আরও ৩ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে।

এভাবে দেশে এসে ভিকটিম বুঝতে পারে যে, সে বড় দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে তার কিডনি হারিয়েছে। কিডনি অপারেশনের ফলে প্রায় ৫ ইঞ্চি পরিমান কাটা দাগ রয়েছে ভিকটিমের শরীরে।

প্রসঙ্গত, ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করায় গত ১০ মে ধানমন্ডি থানাধীন ল্যাব এইড হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে যাতে লেখা আছে Non Visualized left Kidney। কিডনি হারিয়ে আজ সে এক কর্মক্ষমতাহীন মানুষ। এমতাবস্থায় এই চক্রের দ্বারা অন্য আরেকজন ব্যক্তি প্রতারিত হতে গেলে ভিকটিম রবিন তা জানতে পারলে ধানমন্ডি থানা পুলিশের সহায়তায় এই ৩ জন আসমীকে গ্রেফতার করে এবং সেই মতো মামলা রুজু হয়। পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

Header Ad

বাংলাদেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্রসীমায়: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে চরম দারিদ্রসীমায় বাস করছেন প্রায় ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘বৈশ্বিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক-২০২৪: সংঘাতের মধ্যে দারিদ্র্য’। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র ‘অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’-এর সঙ্গে যৌথভাবে ইউএনডিপি এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ১১২টি দেশের ৬৩০ কোটি মানুষের দারিদ্র্য পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে মানুষের জীবনযাত্রার মান, পয়োনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, খাদ্য পুষ্টি ও শিক্ষার মানের অভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বে ১১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছেন, যাদের অর্ধেকের বেশি সংঘাতকবলিত দেশগুলোর বাসিন্দা। আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চরম দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ২৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ এমন পরিবারে বসবাস করছেন, যাদের মধ্যে কমপক্ষে একজন অপুষ্টিতে ভুগছেন।

বাংলাদেশের দারিদ্র্যের মূল কারণ হিসেবে মানুষের জীবনযাত্রার মানের অবনতি (৪৫ দশমিক ১ শতাংশ), শিক্ষার ঘাটতি (৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাব (১৭ দশমিক ৩ শতাংশ) উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছেন এবং তাদের মধ্যে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ অতি দারিদ্রসীমার নিচে। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখের মধ্যে ৩ কোটি ১৭ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ বলেছেন, জাতিসংঘের এই সমীক্ষার সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জরিপের তুলনা করা উচিত নয়। এটি মূলত বৈশ্বিক দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছে। সাম্প্রতিক আর্থিক সংকটের কারণে দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, যা বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।

বিশ্বের চরম দারিদ্র্যের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান সবচেয়ে শীর্ষে। সেখানে ২৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছেন। এরপর রয়েছে পাকিস্তান (৯ কোটি ৩০ লাখ), ইথিওপিয়া (৮ কোটি ৬০ লাখ), নাইজেরিয়া (৭ কোটি ৪০ লাখ) এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (৬ কোটি ৬০ লাখ)। এই পাঁচটি দেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা মানুষের প্রায় অর্ধেকের বসবাস।

প্রতিবেদন অনুসারে, দারিদ্র্যের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে শিশুরা। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা ৫৮ কোটি ৪০ লাখ শিশু, যা বিশ্বের মোট শিশু জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে আছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংঘাতপূর্ণ দেশগুলোয় দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব হচ্ছে না, কারণ সেখানে মানুষের জীবনযাত্রার মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হবে।

Header Ad

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র আশঙ্কা, আঘাত হানতে পারে ২৪-২৬ অক্টোবরের মধ্যে

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে ‘ডানা’ নামে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা চলতি মাসের শেষের দিকে আঘাত হানতে পারে। বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুযায়ী, ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে এটি বাংলাদেশের উপকূল বা ভারতের ওড়িশা রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসতে পারে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্টোবর মাসের ২১ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে, যার নামকরণ করা হবে ‘ডানা’। নামটি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। তবে এখনও ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের ঠিক কোন অঞ্চলে আঘাত হানবে তা নিশ্চিত নয়। আগামী ২০ অক্টোবরের পর এই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

ভারতের আবহাওয়াবিষয়ক সরকারি সংস্থা আইএমডি জানিয়েছে, ২০ অক্টোবরের দিকে উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর ফলে ২২ অক্টোবরের দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসে সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিস্থিতি থাকে, তাই ২২ অক্টোবর মধ্য বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়।

এর আগে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

Header Ad

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া মানে খুনিকে আশ্রয় দেয়া: রিজভী

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা শীর্ষ সন্ত্রাসী, খুনি। যে শিশুর রক্ত পান করতে পারে তার মতো শীর্ষ সন্ত্রাসী আর কে হতে পারে। তাকে আশ্রয় দেওয়া মানে অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া। অন্যায়কে আশ্রয় দেওয়া, খুনিকে আশ্রয় দেওয়া।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ভারতের সাথে তো আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে কূটনৈতিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে প্রত্যর্পণ বিষয়টি সমাধান করে তাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। আর তা না হলে বাংলাদেশে যত শীর্ষ সন্ত্রাসী আছে তারা সেখানে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ নেবে। বিভিন্ন দেশে এভাবে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সর্বশ্রেষ্ঠ শীর্ষ সন্ত্রাসী, খুনি। যে শিশুর রক্ত পান করতে পারে, তার মতো শীর্ষ সন্ত্রাসী আর কে হতে পারে। তাকে আশ্রয় দেওয়া মানে অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া। অন্যায়কে আশ্রয় দেওয়া, খুনিকে আশ্রয় দেওয়া। গতকাল তাদের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে তারা বিগ ব্রাদারের মতো আচরণ করেছে। সেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখনও স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত হতে পারছি না। গতকাল হঠাৎ ৫০-৬০টি জেলায় বিদ্যুতের শাটডাউন করা হয়েছে। এরা কারা আমরা কিন্তু প্রায় দিনই বলেছি স্বৈরাচারের দোসররা ভেতরে আছে, এরা কিন্তু নাশকতা করবে। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সংস্থাটি গঠন করেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। গ্রামেগঞ্জে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, কৃষি উৎপাদনের জন্য এক মহৎ উদ্যোগ নিয়ে গোটা জাতিকে আলোকিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।

রিজভী আরও বলেন, যেহেতু এটি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত করেছেন, এটি ধ্বংস করার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা এ নামটি রাখতে চায় না। গতকাল যে ঘটনা ঘটিয়েছে, এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা কয়েকবার বলেছি। তাদের দাবি-দাওয়া থাকলে সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন করতে পারত। কিন্তু তারা তা না করে গতকাল শাটডাউন করল কেন? কারণ এটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ, এটি নাশকতা। তারা শেখ হাসিনার আমলে এ কর্মসূচি নেয়নি কেন? কারণ এরা শেখ হাসিনার অনুচর।

বিদ্যুতের শাটডাউন কর্মসূচির সঙ্গে যারা জড়িত তারা সরাসরি শেখ হাসিনার লোক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কথিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ভৌতিক অস্তিত্ব নিয়ে ভেতরে ভেতরে ঢুকে আছে। এ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে তারা ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সরকারকে বলছি আরও বেশি সতর্ক হোন, না হলে এ রক্তের বিনিময়ে যে অর্জন, বাচ্চা ছেলেদের স্কুলকলেজের ছেলে-মেয়েদের আত্মদানে যে অর্জন, আমরা গণতন্ত্রের পথে যে যাত্রা করছি তা রোধ করে ফেলবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনারা সংস্কারের কথা বলে যে বিলম্ব করছেন তাতে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হবে। যদি আপনাদের আন্তরিকতা থাকে তাহলে দ্রুত সংস্কার করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন।

রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রত্যেকটা দল সমর্থন করেছে। এটা গণতন্ত্রকামী মানুষের সমর্থিত সরকার, আপনাদের জনগণের অন্তরের ভাষাটা আগে বুঝতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. শামীম, ডা. কাকনসহ অন্য নেতারা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্রসীমায়: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র আশঙ্কা, আঘাত হানতে পারে ২৪-২৬ অক্টোবরের মধ্যে
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া মানে খুনিকে আশ্রয় দেয়া: রিজভী
মালয়েশিয়ায় ঘুরতে গিয়ে কাজ, ৫১ বাংলাদেশিসহ ১৩৮ অভিবাসী আটক
অক্টোবরেই দেশের বাজারে আসছে ৩৫০ সিসির রয়্যাল এনফিল্ড, কত দাম?
বার্ষিক আয়ে শীর্ষে রোনালদো, মেসি তার অর্ধেকেরও কম
হামাসপ্রধান সিনওয়ারের ‘শেষ মুহূর্তের’ ড্রোন ভিডিও প্রকাশ করল ইসরায়েল
দর্শনায় বিজিবির অভিযানে ২ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার
ভালোবাসুন বা ঘৃণা করুন, আমি পরোয়া করি না: সাকিব
কুবির শেখ হাসিনা হল পেল নতুন প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর
ডিমের পর এবার মুরগির দামে ঊর্ধ্বগতি
বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব মুফতি আব্দুল মালেক
ইসরায়েলি হামলায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত
দুপুরের মধ্যে দেশের ৬ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি, হুঁশিয়ারি সংকেত
বিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী সুজয় শ্যাম মারা গেছেন
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল
কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না ড. ইউনূস
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী আটক
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মসূচি স্থগিত, সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক