আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিরের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণ মামলা
ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভির হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর তুরাগ থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক কলেজছাত্রী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় মনিরের সাথে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয় ওই ছাত্রীর। বৃহস্পতিবার বড় মনির তাকে দেখা করতে বলে। এরপর বড় মনিরের সাথে দেখা করেন ওই কলেজছাত্রী। পরদিন আবারও ভুক্তভোগীকে দেখা করতে বলেন বড় মনির। দেখা করার পর তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় উত্তরা ১২ সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাড়িতে। সেখানে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। উদ্ধার হওয়ার পর বড় মনিরের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ জানালে তা আমলে নেয় পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে ৯৯৯-এ কল দিয়ে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক কলেজছাত্রী। এরপর ওই ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রাতভর চলে নানা নাটকীয়তা। জানা যায়, সেসময় ‘অজ্ঞাত আসামি’ উল্লেখ করে অভিযোগ নেয় তুরাগ থানা পুলিশ।
এর আগে, ২০২২ সালেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল টাঙ্গাইলের বড় মনিরের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ ছিল, গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে, ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
সেসময় ওই তরুণী অভিযোগ করেন, বড় মনির মূলত তার সম্পত্তির সমস্যা সমাধান করে দেবে বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং বিভিন্ন রকমের ছবি তোলে। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এরপর সেই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বড় মনির আরও কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
পরে, জন্ম নেয়া ওই পুত্র সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করা হলে দেখা যায়, শিশুটির সাথে বড় মনিরের ডিএনএ মেলেনি। অর্থাৎ শিশুটির জৈবিক (বায়োলজিকাল) পিতা বড় মনির নন। এর ভিত্তিতে, গত বছরের ৯ অক্টোবর ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর শুনানি শেষে বড় মনির জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর, ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী এলাকা থেকে বড় মনির বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার ওই বাদীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।