বিকল্প ধারার মহাসচিবসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর অবসরপ্রাপ্ত মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) এ মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) এম এ মান্নান, ঋণগ্রহীতা মো. আমিনুর রহমান ও বিআইএফসির আরও ১০ কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জন। ইতোমধ্যে অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে।
মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) এম এ মান্নান এবং তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তারা প্রতারণা করে মেসার্স টেলিকম সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক মো. আমিনুর রহমানের নামে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ৮ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেন। পরে বিতরণ দেখিয়ে সুদ ও আসলসহ গ্রাহকের কাছে পাওনা ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ৭০৫ টাকা স্থানান্তর করেন। এরপর তা রূপান্তর ঘটিয়ে আত্মসাৎ করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন করে দুদক।
এতে বলা হয়, আমিনুর নিজের স্বাক্ষরে ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর বিআইএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ৬০ দিন মেয়াদে ব্যবসার জন্য ৮ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৫ শতাংশ সুদে ৬০ মাসের জন্য বোর্ডে ঋণ প্রস্তাব উত্থাপন করে। নিরাপত্তা জামানত হিসেবে প্রত্যেক ঋণের বিপরীতে ৬০ পোস্ট ডেটেড এবং একটি করে তারিখবিহীন স্বাক্ষর করা চেক জমা রাখার কথা বলা হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে চেক কিংবা অন্য কোনো সম্পদ মর্টগেজ নেওয়া হয়নি।
এমনকি আবেদনকারীর সিআইবি রিপোর্টও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি আলোচনা হয়। ৬০ মাস মেয়াদে মোট ৮ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
জানতে চাইল দুদকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিকল্প ধারার মহাসচিবসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।
কেএম/এসএন