সাংবাদিক ও গোয়েন্দা পরিচয়ে মাদক কারবার, গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে ভুয়া সাংবাদিক ও আর্থিক গোয়েন্দা পরিচয়ে মাদক বহনকালে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এসময় তিনটি ব্যাগ ভর্তি ৫০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি চক্রের মূলহোতা মো. মুকুল হোসেন ওরফে মকবুল আহমেদ (৪৪), মো. আব্দুল শাহীন ওরফে নোমান হোসেন (৩৩), মো. ফয়সাল (২৭) ও মো. আল-আমিন হোসেন (২৪) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব বলছে, গাড়িতে গোয়েন্দার স্টিকার ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা মাদক কারবারি করত যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে না পারে এবং তারা এসব অসৎ পথে উপার্জন করে কোটিপতি হতে চেয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) টিকাটুলি র্যাব-৩ কাযার্লয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাদক কারবারি চক্রের মূলহোতা মো. মুকুল হোসেন নিজেকে কখনো নারায়ণগঞ্জ ভিত্তিক লোকাল পত্রিকা ‘দৈনিক মাতৃভূমির খবর’-এর একজন সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে চতুরতার মাধ্যমে কুমিল্লাসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাইভেট কারে করে গাঁজার চালান বহন করে নিয়ে এসে তার অপর তিন সহযোগীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজ হেফাজতে রেখে ক্রয়-বিক্রয় করত।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক পরিবহনের সময় পথিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টের তল্লাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেয়। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়িটি তল্লাশি না করে। অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব বলছে, এ ছাড়া ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়পত্র তৈরি করে নারায়ণগঞ্জসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৌশলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা এনে তার তিন সহযোগীসহ মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে। এভাবে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের কারবারি করে আসছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এসজি