কামরাঙ্গীরচর থানায় ঢুকে হামলা, আহত ৬ পুলিশ
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে রিভার সাইড হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রিভার সাইড হাসপাতালের মালিক এস এম ওসমানীর নেতৃত্বে ৭০-৮০ জন কর্মী এ হামলা চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
আহতরা হলেন, এসআই বজলু রহমান, এসআই মোস্তাকিম কবির, এএসআই আতাউর রহমান, নায়েক রেজাউল ইসলাম, কনস্টেবল সেলিম ও কনস্টেবল মনু মিয়া।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রিভার সাইড হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টায় একটি মামলা দায়ের করেন হাসপাতালের নার্স লাবনী আক্তার। এ ঘটনা জানতে পেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জন কর্মী নিয়ে থানায় আসেন ওসমানী। মামলা নেওয়ায় থানার ওসি ও পরিদর্শককে (তদন্ত) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় থানার অন্য পুলিশ সদস্যদেরও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়। পরে মামলা নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় তিনি পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে থানার ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ওসমানীসহ ছয় জনকে আটক করা হয়। ওসমানী বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। থানায় হামলায় ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ওসমানীর স্ত্রী ডা. শারমিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে গেলে পুলিশ তাদের মারধর করে।
এর আগে, গত ৯ আগস্ট ওসমানীর নেতৃত্বে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ক্যামেরা পার্সন সাজু মিয়ার উপরে হামলা হয়। কোনো মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা না করলেও বিএমডিসির নম্বর জালিয়াতি করে তার হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন একাধিক ভুয়া চিকিৎসক। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে গেলে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার হন ওসমানী। পরে জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
কেএম/এসএন