ডাকাতি করতে গিয়ে নানাকে হত্যা, নাতি-নাতনিসহ গ্রেপ্তার ৫
ঘুরতে যাওয়ার টাকা সংগ্রহ করতে ডাকাতি করতে গিয়ে নানাকে হত্যার ঘটনায় নাতি-নাতনিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৭ নভেম্বর রাতে রাজধানীর চকবাজার খাজে দেওয়ান রোডের ফার্স্ট লেনের ছয়তলা ভবনের দোতলায় মুনসুর আহম্মেদ খুন হন। আসামিরা হলেন- মুনসুর আহম্মেদের মেয়ের দুই ছেলে-মেয়ে আনিকা তাবাসসুম ও শাহাদাত মুবিন আলভী। তাবাসসুমের বন্ধু রাজু ও রাজুর ভাই রায়হান ও তাদের পরিচিত সাঈদ।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার। এর আগে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বকশিবাজার, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, ঘুরতে যাওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজনে আসামিরা এক মাস আগে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। ১৭ নভেম্বর রাতে পরিবারের লোকজন একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের দাওয়াতে অংশ নিতে যায়। আনিকাও সেখানে যান। কমিউনিটি সেন্টার থেকে তদারকি করেন আনিকা। আর বাড়ির আশপাশে থেকে আনিকার বয়ফ্রেন্ড রাজু দেখভাল হিসেবে কাজ করেন। ডাকাতি করতে বাসায় প্রবেশ করেন আনিকার ভাই আলভী, রাজুর ভাই রায়হান ও সাঈদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আটকদের মধ্যে তিনজন মুনসুরকে ইনজেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেন মুনসুর। আর তখনই রায়হান ও সাঈদ তাকে মারধর করে ঘরে থাকা ৯২ হাজার টাকা নিয়ে যান। টাকাগুলো খুঁজে বের করে দেন আলভী। এক পর্যায়ে মুনসুর আহম্মেদের মৃত্যু হয়।
যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে একটি সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। এই সিরিঞ্জকে কেন্দ্র তদন্ত মোড় নেয়। শুরুতে আমরা খুনের মামলা নিই। পরে পরিবারের সদস্যদের পরিকল্পনায় খুনের প্রমাণ পাই। পরিকল্পনায় ভুক্তভোগীর নাতি-নাতনি জড়িত। নাতনি আনিকা ন্যাশনাল ডেন্টালে পড়েন। তিনি মূল পরিকল্পনাকারী, তার ভাই, তার ছেলেবন্ধু ও অন্যানা পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতি করতে গিয়েছিল।
কেএম