সেই মাদক-চোরাকারবারিদের খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষে সোমবার (১৫ নভেম্বর) ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা নিহত হন। এই ঘটনায় আহত হন র্যাবের সদস্য সোহেল বড়ুয়া। তাদের উপর এমন হামলার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
অবশ্য এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার খবরের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছিল। দুর্ঘটনাবশত একজন অফিসার সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন এবং কোন মাদক চোরাকারবারিরা তাকে গুলি ছুড়ল, এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ঘটনার সত্য উদঘাটন করে আমরা পরবর্তীকালে জানাব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাদক চোরকারবারিদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তুমব্রুর নো-ম্যান্সল্যান্ডে। সেখানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান বলে জানা গেছে।’ ডিজিএফআইয়ের ওপর অথাৎ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ওপর গুলি চালানো মাদক-চোরাকারবারিদের খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন এবং র্যাবের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ নভেম্বর) তুমব্রু সীমান্ত এলাকার কোনারপাড়ায় ডিজিএফআই ও র্যাবের এক যৌথ অভিযানে হামলা চালায় চোরাকারবারিরা। এতে ডিজিএফআই’র এক কর্মকর্তা নিহত হন আহত হন র্যাব সদস্য সোহেল বড়ুয়া।
মঙ্গলবার সোহেলকে রাত তিনটায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি
এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং অনেকটা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও তার বড় ভাই জীবন বড়ুয়া। সোহেল বড়ুয়া র্যাব-১৫ তে কর্মরত আছেন। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার বিশ্ব কলোনি এলাকায়।
কেএম/এমএমএ/