কোচিং ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি তৎপরতা চালাতেন মির্জা কাউসার: পুলিশ
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অভিযানে কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মির্জা কাউসার (২৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে ডা. কাউসারকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এরপর ঢাকার দক্ষিণখান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
এতে আরও জানানো হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য ছিলেন মির্জা কাউসার। মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা ও কোচিং ব্যবসার আড়ালে গোপনে এসব জঙ্গি তৎপরতা চালাতেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অপর পাঁচজন সদস্যকে নিয়ে সংগঠনটি চালাতেন তিনি। ব্যবহার করতেন বিভিন্ন ছদ্মনাম। গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যবহার করতেন অনলাইন প্রটেক্টর টেক্সট।
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের ধারণা, ডা. মির্জা কাউসার নিজের পরিচয় গোপন করে নানা ছদ্মনামে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতেন। কখনও মির্জা কাউসার আবার কখনও আবদুল কাদের এবং সোবাহান নাম ব্যবহার করতেন।
জানা গেছে, ডা. মির্জা কাউসার জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামের মির্জা আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। শহরের খরমপট্টি এলাকায় মেডিক্স নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন তিনি।
কেএম/এসআইএইচ