গাঁজা সেবন নিয়ে তর্কে খুন হন টিকটকার রাব্বি
হাজারীবাগের টিকটকারদের পুল পার্টি ছিল ধামরাইয়ের একটি রিসোর্টে। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রথমে বাসের ভেতর গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে জুনিয়ররা এক সিনিয়রের বান্ধবীকে ইভটিজিং করে। ওই বান্ধবী আসাদগেটে বাস থেকে নামার পর দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে মারা যান মো. রাব্বি হোসেন ওরফে রাফা।
সিনিয়র গ্রুপের রাব্বি চাকু নিয়ে জুনিয়রদের দিকে তেড়ে যান। জুনিয়ররা চাকুটি কেড়ে নিয়ে তাকেসহ আরেকজনকে চুরিকাঘাতে আহত করে। পরে রাব্বিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন রাতে মারা যান। শাওন নামে আহত অন্যজনের অবস্থা স্থিতিশীল।
বুধবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীকে আঘাতকারী ফারুক, জিতু ও জসিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোস্তফা, জোবায়ের ওরফে যুবরাজ ওরফে জয়, মো. রাব্বি ও মো. রোমানকে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, হাজারীবাগের টিকটকার শান্ত স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের নিয়ে গত ১ নভেম্বর ধামরাইয়ের একটি রিসোর্টে পুল পার্টির আয়োজন করেন। এতে শতাধিক টিকটকার অংশ নেন। পুল পার্টি শেষে বাসে করে ফেরার পথে গাঁজা সেবনকে নিয়ে সিনিয়র জুনিয়রদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সিনিয়র একজনের বান্ধবীকে ইভটিজিং করে। এ নিয়ে দুই পক্ষ সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। আসাদগেটে আসার পর হামলার ঘটনা ঘটে এবং হাসপাতালে মারা যান রাব্বি। জড়িতরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ফারুকের নামে হাজারীবাগ থানায় তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য অভিযুক্তরাও বয়সে তরুণ, তারা কেউ কেউ ছাত্র, কেউ কেউ কারখানায় কর্মচারী।
কেএম/এসএন