মাদকের টাকা জোগাতেই খুন করেন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাতকে!
ঢাকার ধানমন্ডি লেকের ধারে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন মজুমদার খুনে জড়িত অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদ রাব্বী (১৮) নামে ওই তরুণ পেশাদার ছিনতাইকারী বলে পুলিশের ভাষ্য।
তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া।
পুলিশ জানায়, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন মজুমদারকে খুনের পর ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনটি ইয়াবার বিনিময়ে বিক্রি করেন ছিনতাইকারীরা। আসামিরা মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে ছিনতাই করেন। এ ঘটনার রাতেই তারা ইয়াবা সেবন করেন। শাহাদাতের হাতে দামি ফোন দেখেই মূলত তাকে টার্গেট করে পাঁচ সদস্যের ছিনতাইকারী দল। দলের সদস্যরা হলো রাব্বি, রাসেল, হৃদয়, সজীব ও সোহেল।
তারা গভীর রাতে লেক এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে রবীন্দ্র সরোবরের পাশে সুযোগমতো ঘিরে ধরে শাহাদতকে, ফোন মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাহাদাতের।
ছিনতাই দলে থাকা রাব্বিকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ সব তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে শাহাদাতের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোনটি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ সব বিষয়ে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রেপ্তার রাব্বিসহ পলাতক রাসেল, হৃদয়, সজীব ও সোহেলসহ আরও কয়েকজন মিলে গড়ে তোলা ছিনতাইকারী গ্রুপটির একমাত্র পেশা ছিনতাই। তারা সবাই মাদকাসক্ত। নেশার টাকা জোগাড়ে তারা নিয়মিত ছিনতাই ও চুরি করে থাকে।
জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ওসি মো. ইকরাম আলী মিয়া বলেন, গেল সোমবার রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর জাওলাহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে সে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন তিনি। এ চক্রের অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
কেএম/আরএ/