এক রাতে রাজধানীতে ২৭ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি এবং ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ এবং কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুবেল (১৯), আরমান (২১), তুহিন মোল্লা (৩৫), শামীম শেখ (২৩), শান্ত (১৯), বাবু মিয়া (৩২), সোহাগ (২৮), আরশেদ (২৫), মিলন (২৫), সাকিব (২০), সাগর (২২), বাবু হোসেন গাজী (২৬), আকাশ (২২), ইমরান (২২), সাগর (২৮), শান্ত (২২), রিফাত উদ্দিন (২৩), সুজন (২২), সুজন (২৩), ওয়াসিম আকরাম (২২), ইব্রাহিম (২২), আরিফ হোসেন (২৭), সুমন (২২), কবির হোসেন (৩৫), কামরুল হাসান (৩৮), রকি ব্যাপারী (৩২) ও সোহাগ (৩২)।
এসব তাদের কাছ থেকে ১টি সুইচ গিয়ার, ৮টি চাকু, ২টি ক্ষুর, ৯টি ব্লেড, ৩টি এন্টিকাটার, ৩টি বিষাক্ত মলমের কৌটা, ২টি বিষাক্ত স্প্রে, ৭টি মোবাইল, ২টি সিমকার্ড, ৫টি মানিব্যাগ, ২টি ঘড়ি, ১টি হেডফোন এবং নগদ ৩ হাজার ৩১৩ টাকা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব বলছে, ছিনতাইকাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করত না। এসব ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনার ফলে পথচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রাজধানীবাসী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা যাত্রীরা যাতে নিরাপদে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করে নির্বিঘ্নে স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন এ লক্ষ্য নিয়ে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। এরপর সহজ সরল যাত্রীদের টার্গেট করে কখনো দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং বিষাক্ত চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, ওই বিষাক্ত পানীয় সেবন করার বা বিষাক্ত স্প্রের ঘ্রাণ নেওয়ার পর যাত্রীরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তারা ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। এসব ছিনতাইকারী সদস্যদের ভুক্তভোগীরা খুব কম ক্ষেত্রেই শনাক্ত করতে পারেন। ফলে এসব ছিনতাইকারী সদস্যরা নির্বিঘ্নে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কেএম/এসজি