কিশোরীকে গণধর্ষণ: ১৮ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ফেনী জেলার সোনাগাজীতে ২০০৩ সালে মাকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ১৮ বছর ধরে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম-অলি নবী ওরফে লাতু মিয়া।
র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকা হতে ফেনী জেলার সোনাগাজী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব বলছে, ২০০৩ সালে মাকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি ছিল।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) র্যাব মিডিয়া সেন্টার কাওরান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৩ সালের ১৩ মে গভীর রাতে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের একটি বাড়ীতে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিধবা মা ও ১৩ বছরের মেয়েকে জোর করে বাইরে নিয়ে এসে মাকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে মায়ের সামনেই মেয়েকে লাতু মিয়া, ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম ও কাশেম মিলে গণধর্ষণ করেন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পরদিন সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। আসামি মো. ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কাশেম ও মো. লাতু মিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ১৩ আগস্ট ২০০৩ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে দীর্ঘ ১৯ বছর পর অভিযুক্ত তিন আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং মো ফারুকের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করেন।
কেএম/এমএমএ/
