মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তারা: র্যাব

র ্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪৬৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চক্রের মূলহোতা মো. আলী আকবর, রিপন মিয়া এবং নুর হোসেন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ এর একটি দল। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যান এবং জিপ জব্দ করা হয়।
তাদের আটকের পর র্যাব বলছে, খাবার হোটেলে কাজ করত এক আসামি এরপর ৫ বছর ধরে সে ট্রাকের হেলপার ছিল। সর্বশেষ মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতার সঙ্গে যুুক্ত হয় আসামি।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে কাভার্ডভ্যান এবং জিপের ভেতরে বস্তার মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৪৬৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এ সময় মাদক পাচার চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, ফেনী-কুমিল্লাসহ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থান করেন ফেনসিডিলের ডিলাররা। তাদের কলে সীমান্তে যায় আকবরের গাড়ি। গাড়িগুলোতে থাকে বিশেষ চেম্বার। দেড় দুই কিলোমিটার সামনের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রেকি করত চক্রের অন্য সদস্যরা। আর এভাবেই ৪-৫ জেলা পাড়ি দিয়ে আকবরের ফেনসিডিলের চালান পৌঁছে যেত নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরে।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে, জিপের মালিক আলী আকবর চক্রের মূলহোতা। কুমিল্লা থেকে নারায়ণগঞ্জে ফেনসিডিলের চালানটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলী আকবরের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জনৈক এক ব্যক্তির চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক ১৫ অক্টোবর রাত ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁও থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে ব্যক্তিগত জিপ নিয়ে রওয়ানা করে আকবর।
কুমিল্লার সোয়াগাজী এলাকায় পৌঁছানোর পর তিনি একটি হোটেলের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। এরই মধ্যে চক্রের পূর্ব পরিচিত কাভার্ডভ্যানের চালক নুর হোসেনকে ফোন করে কুমিল্লার সোয়াগাজী বাজারে অবস্থান করতে নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, কাভার্ডভ্যানটি সোয়াগাজী বাজারে এসে পৌঁছালে কুমিল্লা এলাকার ডিলার বস্তার ভেতরে ফেনসিডিল ভর্তি করে কাভার্ডভ্যানে লোড করে তালাবন্ধ করে দেন। তারপর আলী আকবর জিপের ব্যাক ডালার ভেতরে বিশেষ কায়দায় তৈরি করা চেম্বারে ফেনসিডিল লোড করেন। সেগুলো তারা নারায়ণগঞ্জের জনৈক এক ব্যক্তির কাছে সরবরাহের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এর আগে আকবর লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জের বিভিন্ন খাবার হোটেলে কাজ করতেন।
পরে ঢাকায় এসে পাঁচ বছর ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করেন। সেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠে। প্রথমে তিনি মাদক পরিবহনের কাজ করতেন। যার মাধ্যমে স্বল্প সময়ে তিনি গাড়ি-বাড়ি, বিপুল সম্পত্তি ও নগদ অর্থের মালিক বনে যান।
কেএম/এমএমএ/
