অন্তঃসত্ত্বা বিউটিশিয়ানকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর শুক্রাবাদে অন্তঃসত্ত্বা বিউটিশিয়ানকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রিয়াদ ও ইয়াসিন হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
ডিসি আজিমুল হক বলেন, বিউটিশিয়ানকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য বেশকিছু এলাকায় অভিযান চলে। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজ বিকাল ৩টায় তেজগাঁও বিভাগের ডিসি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শুক্রাবাদের একটি বাসায় ওই বিউটিশিয়ান ধর্ষণের শিকার হন। বর্তমানে ওই নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ধর্ষণের শিকার নারীর বড় ভাই গণমাধ্যমকে বলেন, ফেসবুকে অর্ডার পেলে বাসায় গিয়ে মেয়েদের সৌন্দর্যচর্চার কাজ করে আমার বোন। মঙ্গলবার রাতে এক নারীর অর্ডার পেয়ে সাভার থেকে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের বয়েজ স্কুলের কাছ যায় সে। সেখানে ওই নারী একজন পুরুষকে দিয়ে আমার বোনকে রিসিভ করান। পরে একটি বাসায় নিয়ে টাকার বিনিময়ে ৩ জন পুরুষের কাছে আমার বোনকে দিয়ে দেয় ওই নারী।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিরা আমার বোনকে ধর্ষণ করে। পরে মোবাইল রেখে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার বোন সেখান থেকে রিকশায় গাবতলী পর্যন্ত আসেন। সেখানে তার স্বামীকে ফোন দিলে গাবতলী থেকে বোনকে নিয়ে সাভারে যায়।
ভুক্তভোগীর স্বামী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্ত্রী পার্লারের কাজ শিখেছেন। বাসায় গিয়ে রূপচর্চা সেবা দেন। অনলাইনে এমন একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। সেখানে অর্ডার পেয়ে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে গিয়েছিলেন আমার স্ত্রী।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তরুণী বিউটিশিয়ানকে ফোন করে কাজ করাবেন বলে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে আসতে বলেন। ওই নারী সাভারে থেকে ধানমন্ডি আসেন। বাসায় থাকা ৩ তরুণ প্রথমে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে বিউটিশিয়ানকে মারধর করেন। পরে তারা ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
কেএম/এসএন