মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি!

দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ লাইনের তার ও ট্রান্সফর্মার চুরি ঘটনা ঘটে আসছে। এই চুরির সঙ্গে জড়িত মূলহোতা শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে এ সময় শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ৮টি সার্কিট ব্রেকার, ১২ টি ডিস্ক ইন্সুলেটর, ১০টি টেনসন ক্লাম্প, ১০ টি পোস্ট ইনসুলেটর, ২ টি ড্রাব কাট-আউট, ১ টি সাইড মাউন্ট ব্রাকেট ও ৪টি সেকল ইনসুলেটর জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশে বিদ্যুতের সংকট চলছে। এরই মধ্যে একটি চক্র বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ চুরি করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে বৈদ্যুতিক তার, যন্ত্রাংশ ও ট্রান্সফর্মার চুরি চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শরিফ বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেব ঠিকাদারি কাজ করতেন। আর এই কাজরে সূত্র ধরে শরিফের সঙ্গে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চোর চক্রের সদস্যদের পরিচয় গড়ে ওঠে। এই চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগের যন্ত্রপাতি চুরি করে এনে শরিফের কাছে বিক্রি করত। শফিফ চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগে ব্যবহৃত চোরাই বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ অল্প টাকায় কিনে জমা করে রাখত। পরবর্তী সময়ে শরিফ এই সব চোরাই যন্ত্রপাতি বিভিন্ন অবৈধ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করত। এর মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো শরিফ।’
কেএম/এমএমএ/
