গহনা চুরির টাকায় ঘোরাঘুরি ও মাদক গ্রহণ
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগ ফরহাদ নামে এক চোরকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলছে, এই চোরের নেশা শুধু জুয়েলারি দোকান থেকে স্বর্ণালংকার চুরি এবং তা বিক্রি করে বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজার ঘুরে বেড়ানো ও মাদক গ্রহণ করা।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশপ্রধান হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের তথ্য বলছে, ওই চোর তার বন্ধুকে কিনে দিতেন একই রকম পোশাক। পুলিশ বলছে, মালিকের দেওয়া চাবি নকল করে ফরহাদ ও তার বন্ধুরা এক দোকানেই চুরি করেছে ১৮ ভরি স্বর্ণের গহনা। স্বর্ণ চুরি ও এ সব মালামাল কেনার সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় চন্দ্রিমা মার্কেটের সততা জুয়েলার্সে চুরি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন অবলীলায় দোকানের তালা খুলে স্বর্ণের গহনা চুরি করার পর মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা চুরি করা এ সব গহনা বিক্রি করে সবাই একই রকমের পোশাক কিনে রওনা দেন কক্সবাজারের উদ্দেশে। সেখানে চলে ঘোরাঘুরি আর মাদক গ্রহণ। এভাবেই চুরির টাকায় শখ পূরণ করে একাধিকবার।
দোকানের মালিক বলছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে পাশের দোকানের কর্মচারী ফরহাদকে নিয়োগ দেন প্রতিদিন দোকান খোলা আর বন্ধের কাজে। এই সুযোগে নকল চাবি তৈরি করে রাখে ফরহাদ।
ভুক্তভোগী স্বপন চৌধুরী বলেন, বেশকিছু দিন ধরেই চুরি করছিল। প্রথমে বুঝতে পারিনি। এবার বেশি করে নেওয়ায় বুঝতে পারলাম।
অন্য ব্যবসায়ীরা বলেন, আপনার দোকানে তালা লাগানো অবস্থায় কীভাবে চুরি হলো, আমি বুঝতে পারছিলাম না। পরের বার বেশি মালামাল নেওয়ায় বুঝতে পারি।
পুলিশ বলছে, চক্রটি স্বর্ণের গহনা চুরি করে বিক্রি করত বিজিবি গেটের কিছু ব্যবসায়ীর কাছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, গহনা বাজারে যেখানে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেখানে তারা ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ভরি হিসেবে বিক্রি করে, এ সব চোরাই সিন্ডিকেটের কারণে তাদের ধরা যাচ্ছে না। তারপরও আমাদের অভিযান চলছে।
চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/আরএ/