ছাত্রলীগ নেতা রানা হত্যার আসামি ইকবাল গ্রেপ্তার
রমনা থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানাকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি মো. ইকবাল হোসেন তারেককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কাওরাবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তিনি সুইফ ক্যাবল লিমিটেড নামে ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন কামরুল ইসলাম ও তানভিরুজ্জামান রনি। তাদের সঙ্গে নিহত মাহবুবুর রহমান রানার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ডিসের ক্যাবল কেটে দিতেন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায়শই মারামারি হতো। এসব ঘটনার জের ধরে ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাহবুবুর রহমান রানা মোটরসাইকেল যোগে মগবাজার চৌরাস্তা থেকে মসজিদের পাশের গলিতে প্রবেশ করলে বাটার গলির মুখে ইকবালসহ অন্যরা তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে রানার মুখে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় স্থানীয় লোকজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটান এবং গুলি ছোড়েন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয় ব্যক্তিরা রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি তাজা বোমা ও রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রমনা থানার মামলা একটি মামলা হয়। মামলার পরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, থানায় মামলার ঘটনায় সুইফ ক্যাবল লিমিটেডের মালিক কামরুল ইসলাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৪ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন গ্রেপ্তার এবং চারজন পলাতক ছিল। পলাতক আসামিদের মধ্যে মো. ইকবাল হোসেন তারেক একজন।
কেএম/এসএন