রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৩৪ বছর পর গ্রেপ্তার

১৯৮৭ সালে চরমপন্থী কর্তৃক নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানায় একজন কনস্টেবল খুন এবং থানার মজুতকৃত অস্ত্র লুটের ঘটনায় খুনসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৪ বছর ধরে পলাতক আসামি চরমপন্থী সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, এ ঘটনায়, খুনসহ ডাকাতি মামলার ৩০ বছর যাবত পলাতক আসামি চরমপন্থী সাইফুল ইসলাম ওরফে মানিককে (৫৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব আরও বলছে, এই চরমপন্থীরা ওই সময় মিটিং করে সরকার বা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পথে বাধা হয়ে দাড়ালে তারা পুলিশ বা তাদের সদস্যকে হত্যা করে থানা ফাঁড়ি লুট করে আতঙ্ক তৈরি করবে।

চরমপন্থী সাইফুল এ মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার নেতৃত্বে থানা লুট করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনার তদন্তে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি একদল চরমপন্থী ছদ্মবেশে লুঙ্গি, গামছা পরিহিত অবস্থায় হাতে পোটলা নিয়ে হাটের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে থাকে। তাদের পোটলার মধ্যে অস্ত্র লুকায়িত ছিল। তাদের মধ্যে কিছু লোক অস্ত্র প্রদর্শন করে টেলিফোন অফিস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেন্ট্রাল কমান্ড বিকল করে দেয় এবং কয়েকজন থানায় জিডি করার উদ্দেশে থানায় প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে থানা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

এ সময়ে থানায় প্রহরারত কনস্টেবল হাবিবুর রহমান বাধা দিলে চরমপন্থীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে থানার অস্ত্রাগার লুট করে ২ টি এসএমজি, ৪ টি এসএলআর, ১৮টি ৩.৩ রাইফেল ও গোলাবারুদ লুট করে থানার লকআপে বন্দি চরমপন্থী আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারপর আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তারা একযোগে টেলিফোন অফিস ও থানা কম্পাউন্ডে বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়। তারপর তারা লুন্ঠিত মালামাল নিয়ে তাঁচকৈর হয়ে পূর্বদিকে গারিসাপাড়া হয়ে ধামাইর মাঠের দিকে চলে যায়।

র‌্যাব জানায়. এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার মামলা হয় মামলা নং-৯-১৯৮৭। মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জন আসামি গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জবানবন্দি, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ৪৯ জনকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানার চার্জশীট দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৭ সালে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, র‌্যাব-৩ এর আভিযানিক দল একটি গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে এ মামলায় একজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি নারায়ণগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপনে আছে। তারপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা নজরদারির মাধমে রাতে অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকা হতে ছাত্তার নামে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করা অবস্থায় সাইফুল ইসলাম ওরফে মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে ১৯৮৪ সালে চরমপন্থী নেতা তারেকের মাধ্যমে পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি লাল পতাকা ওরফে সর্বহারা দলে যোগ দেয়।

চরমপন্থী নেতা তারেক প্রতি সপ্তাহে চাটমোহর এলাকায় উঠতি বয়সের যুবকদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে উঠান বৈঠক করত। ওই বৈঠকে সে আকর্ষণীয় কথাবার্তা বলত। সে বলত, তার দলে যোগ দিলে কোনো অভাব অনটন থাকবে না। তারা সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে। কেউ তাদের কাজে বাধা দিলে তাদেরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে। যদি সরকার বা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে তারা পুলিশ হত্যা করে থানা ফাঁড়ি লুট করবে। তাদের এরূপ আকর্ষণীয় কথায় মুগ্ধ হয়ে সে সক্রিয়ভাবে চরমপন্থীদের হত্যা, লুটপাট, ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির কাজে অংশগ্রহণ করতে থাকে। চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় এলাকায় সকলে তাকে সমীহ করত। যাদের সঙ্গে তার বিরোধীতা ছিল চরমপন্থীদের আশ্রয়ে থাকায় সকলে তার সঙ্গে আপোষ-মিমাংসা করে নেয়।

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরও বলেন, চরমপন্থী নেতা তারেক উক্ত ঘটনার দুই মাস আগে থেকে গুরুদাসপুর থানা লুট করার পরিকল্পনা করে। এ জন্য সে ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ি, কুষ্টিয়া, পাবনা, টাঙ্গাইল এলাকা থেকে চরমপন্থী দলের সদস্যদের আহ্বান জানিয়ে একত্রিত করে। ঘটনার দিন তারা বিভিন্ন এলাকা হতে প্রায় ৬০ জন নাটোর, ধামরাইর মাঠে এসে জড়ো হয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী ছদ্মবেশে লুঙ্গি, গামছা পরিহিত অবস্থায় পোটলার মধ্যে অস্ত্র লুকিয়ে গুরুদাসপুর থানা ও টেলিফোন অফিসের আশপাশ এলাকা এবং হাট এলাকায় অবস্থান নেয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পূর্ব হতেই কয়েকজন সার্বক্ষনিক টেলিফোন অফিসের কর্মী এবং গুরুদাসপুর থানার ফোর্সের গতিবিধির উপর নজরদারি করছিল। তাদের সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই সুলতানের নেতৃত্বে ৫ জন টেলিফোন অফিসে প্রবেশ করে সেন্ট্রাল কমান্ড বিকল করে দেয়।

অন্যদিকে তারেকের নেতৃত্বে তিনিসহ প্রথমে ৪ জন জিডি করার জন্য থানায় প্রবেশ করে এবং মজিদের নেতৃত্বে ১০ জন থানা ব্যারাকে প্রবেশ করে সকল ফোর্সকে কক্ষের মধ্যে বন্দি করে রাখে। এ সময় ডিউটিরত কনস্টেবল হাবিবুর রহমান প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইলে তারেক গুলি করে কনস্টেবল হাবিবুরকে হত্যা করে। গুলির শব্দের সঙ্গে সঙ্গে থানার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন তারেক অস্ত্রাগারের তালা ভেঙে অস্ত্রাগার হতে সকল অস্ত্র, গোলাবারুদ লুটপাট করে এবং থানার লকআপে বন্দি চরমপন্থী দলের আটককৃত একজন সদস্য ইয়াকুবকে তালা ভেঙে মুক্ত করে। এরপর তারা বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থানা কম্পাউন্ড এবং টেলিফোন অফিস ত্যাগ করে লুন্ঠনকৃত অস্ত্র নিয়ে হাটের মধ্যে দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। হাটের মধ্যে অনেক লোক উপস্থিত থাকলেও কেউ তাদের বাধা দেওয়ার সাহস করেনি। তা ছাড়া, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের দলের সদস্যরা ভিড়ের মধ্যে ছদ্মবেশে লুকিয়ে ছিল। কেউ তাদের কাজে বাধা দিলে প্রতিহত করার পূর্ব প্রস্তুতি তাদের ছিল। লুণ্ঠনকৃত অস্ত্র তারেক, সুলতান, মজিদ এবং ইয়াকুব তাদের হেফাজতে নিয়ে চাটমোহর, চলনবিল এলাকায় লুকিয়ে রাখে।

র‌্যাব জানায়, এ ঘটনার শেষে সাইফুল তার বাড়িতে গিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে। ১৯৮৮ সালে তারেকের নেতৃত্বে চাটমোহর থানার খোতবাড়ি এলাকায় মাঠের মধ্যে রাতে নকশালপন্থী এবং সর্বহারাদের মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ঘটনায় নকশালপন্থী ১২ জন নিহত হন। ওই ঘটনার পর তিনিসহ সর্বহারা দলের সদস্যরা চলনবিলে গোসল করে যার যার বাড়িতে চলে যায়। ভোর হলে পুলিশ ১২টি লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুদাসপুর থানার অস্ত্র লুটের সত্যতা বেরিয়ে আসে। ওই মামলায় সাইফুল জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক জীবন শুরু করে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর সে আদালতে আর কোনো হাজিরা দেয়নি। তার নামে থানা লুট ও হত্যা মামলাসহ ৫টি মামলা রয়েছে।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা

ইসরায়েলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদত। ছবি: সংগৃহীত

ডিজনির নতুন চলচ্চিত্র ‘স্নো হোয়াইট’ লেবাননে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছবিটিতে ইসরায়েলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদতের অভিনয় করায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ আল-হাজ্জার সিনেমাটি নিষিদ্ধের সরাসরি নির্দেশ দেন। দেশটির চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ সংস্থাও গ্যাদতের উপস্থিতির কারণে সিনেমাটি নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছিল বলে উল্লেখ করেছে লেবাননের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক আন-নাহার এবং মার্কিন বিনোদনমাধ্যম ডেডলাইন।

ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি হামলা এবং গ্যাল গ্যাদতের প্রকাশ্য ইসরায়েল-সমর্থনের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈরুতভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিবেশনা সংস্থা ইতালিয়ান ফিল্মস জানিয়েছে, গ্যাল গ্যাদতের নাম আগেই লেবাননের ‘ইসরায়েল বয়কট তালিকা’-তে যুক্ত ছিল। ফলে তার অভিনীত কোনো ছবি লেবাননে মুক্তি পায় না। ‘স্নো হোয়াইট’ও এর ব্যতিক্রম নয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ডিজনি ঘোষণা দেয়, লাতিন বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী রেচেল জেগলার ‘স্নো হোয়াইট’ চরিত্রে অভিনয় করবেন। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুক্তির আগেই বিতর্কের মুখে পড়ে সিনেমাটি, যার কারণে ডিজনি প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানও সীমিত করে।

উল্লেখ্য, ‘স্নো হোয়াইট’ রূপকথাটি প্রথমবার সিনেমার রূপ পায় ১৯০২ সালে নির্বাক সংস্করণে। এরপর এটি একাধিকবার সবাক, অ্যানিমেটেড ও লাইভ-অ্যাকশন হিসেবে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু
দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়লো