পূর্ব পরিচিত বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নবজাতক চুরি, অবেশেষে ধরা!

নবজাতককে দেখতে পূর্ব পরিচিত একজনের বাসায় যান শাহিদা বেগম ও সোহেল রানা দম্পতি। সুযোগ বুঝে সেই নবজাতককেই চুরি করে পালিয়ে যান তারা। এরপর নবজাতকের মা-বাবার কাছে দাবি করেন ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ। নবজাতকটির দিনমজুর বাবা-মায়ের পক্ষে মুক্তিপণের এতো টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। নিরুপায় হয়ে তারা দ্বারস্ত হন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৪) কাছে।
এরপর বিষয়টি তদন্তের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া নবজাতকটিকে উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করা হয় শাহিদাকে (২৬)।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ঢাকার সাভারের বাসিন্দা শ্রমজীবী শামসুন্নাহার-মোহাম্মদ বাদল দম্পতির ২ সেপ্টেম্বর একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তারা নবজাতককে নিয়ে নিজেদের সাভার রাজ ফুলবাড়িয়া রাজারহাট এলাকার ভাড়া বাসায় চলে যান। ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই দম্পতির পূর্ব পরিচিত শাহিদা বেগম ও সোহেল রানা দম্পতি তাদের বাসায় নবজাতকটিকে দেখতে যান। মা শামসুন্নাহার নবজাতকটিকে শাহিদার কোলে দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের জন্য রান্নাঘরে যান। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহিদা ও সোহেল রানা চারদিনের নবজাতকটিকে চুরি করে দ্রুত পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, ভিকটিমের মা রান্নাঘর থেকে এসে তাদের দেখতে না পেয়ে তার স্বামীকে খবর দেন। পরে তারা বিভিন্ন এলাকায় ওই দম্পতির খোঁজ করেন। একপর্যায়ে সোহেল রানা ভিকটিম নবজাতকটির মা শামসুন্নাহারকে জানায়, নবজাতকটি তার স্ত্রী শাহিদার হেফাজতে সিরাজগঞ্জে আছে এবং শিশুটিকে ফেরত পেতে হলে তাদেরকে নগদ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।
শামসুন্নাহার ও বাদল দম্পতি দিনমজুর হওয়ায় তাদের পক্ষে এতো অর্থ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় ভিকটিম শিশুটির মা র্যাব-৪ এর অভিযোগ করেন। পরে র্যাবের তদন্তের ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধারসহ শাহিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম/আরএ/
